চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

সাকা মুজাহিদের প্রাণভিক্ষার আবেদন নিয়ে কারাগারে দুই ম্যাজিস্ট্রেট

সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি-না এ বিষয়ে জানতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে গেছেন দু’জন ম্যাজিস্ট্রেট। এসময় তারা ফাঁসির মঞ্চ পরিদর্শন ও কারাগারের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন।

প্রাণভিক্ষা চাওয়ার ব্যাপারে সাকা-মুজাহিদ দু’জনই পরিস্কার করে কিছু বলেননি এখন পর্যন্ত। তবে প্রস্তুত করা হয়েছে ফাঁসির মঞ্চ। প্রস্তুত আছে জল্লাদরাও। এখন সময়ের অপেক্ষা। এরই মধ্যে আজ সকালে ফাঁসির মঞ্চ ও কারাগারের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করলেন ম্যাজিস্ট্রেটরা।

কোন জল্লাদ সাকা-মুজাহিদের রায় কার্যকর করবেন, তা নির্ধারিত না হলেও কাদের মোল্লা ও কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর করা জল্লাদ শাজাহান ও জল্লাদ রাজু’র নাম শোনা যাচ্ছে। শীর্ষ এই দুই যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর নিয়ে কারাগারের ভেতরে বাইরে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

বৃহস্পতিবার রাত পৌনে নয়টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের রিভিউ খারিজের রায়ের কপি নিয়ে কেন্দ্রীয় কারাগারে যান ডেপুটি রেজিষ্ট্রার আফতাবুজ্জামান। দশ মিনিট পর কারাগার থেকে বেরিয়ে যান তারা।

রাত সাড়ে দশটার কিছু পরে আসামীদের রায় পড়ে শোনাতে জেলার নেছার আলম এবং দু’জন ডেপুটি জেলারকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীগন্ধা সেলে যান সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির। সোয়া এগারটার দিকে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হন দুই ডেপুটি জেলার।এর কিছুক্ষণ পর বের হন জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির। আসামীরা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়েছেন কিনা এ ব্যাপারে কিছু না জানিয়ে চলে যান তিনি।

বৃহস্পতিবার রাতে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদন্ডাদেশ পাওয়া জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ এবং বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রিভিউয়ের রায় কারাগারে পৌছানোর পর ঐ এলাকায় বাড়ানো হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রাতেই তাদের রায় পড়ে শোনান জেল কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার সকালে মুজাহিদের আইনজীবীরা তার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি না পাওয়া কারাগারা এলাকায় ছিল শুধু নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি।

বেলা ২টার দিকে কেন্দ্রীয় কারাগারের মূল ফটকে আসেন সালহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর দুই আইনজীবী। এসময় কারাগার এলাকায় জোরদার করা হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

তবে কিছুসময় পর সাকার আইনজীবীরা কারাগার এলাকা ত্যাগ করলে আবারো কিছুটা শিথিল হয় কারাগার এলাকার নিরাপত্তা। আলী আসহান মুহাম্মদ মুজাহিদ এবং সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর প্রাণ ভিক্ষা চাওয়া-না চাওয়ার ওপর নির্ভর করছে তাদের মৃত্যুদন্ড কার্যকরের সময়।

রায় কার্যকরে সরকারের নির্বাহী আদেশ পেলেই কারা কর্তৃপক্ষ তা বাস্তবায়ন করবে বলে জানা গেছে।