চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

সাঈদীও রিভিউ আবেদন করবেন

মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীও রিভিউ আবেদন করবেন। সাঈদীর সঙ্গে কাশিমপুর কারাগারে দেখা করে এ কথা জানিয়েছেন আইনজীবী মতিউর রহমান।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাঈদীকে দেয়া মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দেয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে মঙ্গলবারই রিভিউ আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। কেনো ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা উচিত তার ব্যাখ্যা দিয়ে ৩০ পৃষ্ঠার আবেদনে ৫টি যুক্তি উল্লেখ করা হয়েছে।

টর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, এই মামলায় ইব্রাহীম কুট্টি ও সাহেব আলী হত্যার দায় থেকে সাঈদী মুক্তি পেতে পারেন না।

জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিল মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হয়। ওই রায়ে সই করেছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এম মোজাম্মেল হোসেন, বর্তমান প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি আব্দুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী।

২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সাঈদীর আপিলে ট্রাইব্যুনাল-১ এর মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দিয়ে চূড়ান্ত রায় দেন আপিল বিভাগ।

রায়ে গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণের ৫টি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। ২টি অভিযোগে আমৃত্যু এবং একটিতে যাবজ্জীবন, ৮ নম্বর অভিযোগের একাংশের জন্য ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অন্য অংশের জন্য খালাস দেন আপিল বিভাগ। ৭ নম্বর অভিযোগে ১০ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

২০১৩ সালের ১৬ এপ্রিল মামলাটির আপিল শুনানির পর রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান রাখেন আপিল বিভাগ। পাঁচ মাসের মাথায় সংক্ষিপ্ত রায়ের পর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয় এক বছর সাড়ে তিনমাস মাস পর।

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

এটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন, সাঈদীর মামলায় আপিল শুনেছেন ৫ বিচারপতি, বর্তমানে ২ বিচারপতি অবসরে যাওয়ায় আছেন তিন বিচারপতি। তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন কিভাবে রিভিউ আবেদন শুনবেন।