সাইবার অপরাধের বিষয়ে সচেতন হতে শিক্ষক-অভিভাবকসহ সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার তৃতীয় ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০১৯ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গুজবে কেউ কান দেবেন না। দেশের মানুষকে বলবো একটা কিছু আসলে শুনে সাথে সাথে রিঅ্যাক্ট করার দরকার নেই। সত্য-মিথ্যা যাচাই করতে হবে। না হলে এতে সমাজের ক্ষতি হয় ব্যক্তির ক্ষতি হয়। ইন্টারনেটে কোনো পোস্ট শেয়ারে বিষয়ে সচেতন হবে। যাচাই করতে হবে। সাইবার নিরাপত্তা অপরাধ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এ বিষয়ে শিক্ষক-বাবা মা সবাইকে সচেতন হতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ আমরা দাবি করতে পারি আজকের বাংলাদেশ সত্যিকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ। স্কুল থেকে ছেলে-মেয়েদের এ বিষয়ে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে কেউ আর অজানা নয়।’
‘‘ডিজিটাল বাংলাদেশের মাধ্যমে একদিকে কর্মসংস্থান হচ্ছে আরেকদিকে মানুষ সেবা পাচ্ছে। ৩ হাজার ৬০০ ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড সংযোগ দেয়া হয়েছে। আরো ২০০টিতে দেয়ার কাজ চলছে। আস্তে আন্তে সবগুলো ইউনিয়নে সংযোগ দেয়া হবে। ১৬ কোটি মানুষের দেশে এখন ১৬ কোটি ৪১ লাখ ৭০ হাজার সিম ব্যবহার হচ্ছে। একজন একাধিক সিম ব্যবহার করছে। ‘
উন্নয়নের নানা দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আগে কেউ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে চাইত না। আমি পরে এ বিষয়ে বাধ্য করি সবাইকে। এখন বিদেশে থেকেও অনলাইনে ফাইলের কাজ করতে আর কোনো সমস্যা হয় না।’
‘তথ্য বাতায়নের মাধ্যমে বহুমুখী সেবা দিয়ে যাচ্ছি আমরা। উন্নয়নের সাথে সাথে নানা ধরনের অপরাধ প্রবণতাও বৃদ্ধি পায় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন: ‘এখন অনেক ধরনের অপরাধ হয়ে থাকে। সে বিষয়ে যেনো দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া যায় সে ব্যবস্থাও জরুরী সেবার মাধ্যমে করেছি।’
‘‘আইসিটি শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। মহেশখালীকে ডিজিটাল আইল্যান্ড ঘোষণা করা হয়েছে। বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু হয়ে গেছে সেখানে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যে ঘোষণা এসেছে বিশ্বে আমরা সেদিকে থেকেও নিজেদের প্রস্তুত করে তুলছি।’’