চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

সাইফের সেঞ্চুরি, মিরাজের চার উইকেট

জাতীয় লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথমদিনে ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি পেয়েছেন সাইফ হাসান। আর বল হাতে সফল দিনশেষ করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ।

সাইফের শতকের দিনে রান পেয়েছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও ইয়াসির আলী। হাফসেঞ্চুরি তুলে অপরাজিত আছেন চট্টগ্রামের দুই ব্যাটসম্যান। হাফসেঞ্চুরি করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও।

রংপুর ডিভিশনের বিপক্ষে চট্টগ্রামের মাঠে ঢাকার হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন সাইফ হাসান। দিনশেষে ভালো অবস্থানে আছে ঢাকা। ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৩১৪ রান তুলেছে তারা।

১২০ রান করা সাইফকে আউট করতে পারেননি রংপুরের কোনো বোলার। ১৭৩ বলে ১৩ চার ও তিন ছক্কায় সাজানো ইনিংস খেলে রিটায়ার্ড হার্ট হন তিনি। সাইফের সেঞ্চুরির ছাড়াও হাফসেঞ্চুরি করেছেন রনি তালুকদার (৬৫) ও রকিবুল হাসান (৫৭)। তাইবুর রহমান করেন ৩৫ রান।

দুই উইকেট নিয়ে রংপুরের সফল বোলার সোহরাওয়ার্দী শুভ।

এদিকে, ফতুল্লায় বরিশাল ডিভিশনের বিপক্ষে চট্টগ্রাম ডিভিশনের হয়ে রান পেয়েছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও ইয়াসির আলী। দিনশেষে ৬৯ রানে অপরাজিত অঙ্কন, আর ৬৮ রানে অপরাজিত আছেন ইয়াসির। এদুজন ছাড়াও শুরুতে হাফসেঞ্চুরি (৫৭) করেন ইরফান শুক্কুর।

ইনজুরির কারণে তামিম ইকবাল খেলতে না পারলেও বেশ ভালো অবস্থানেই আছে চট্টগ্রাম। দিনশেষে ৪ উইকেটে ২৬১ রান তুলেছে তারা।

বরিশালের হয়ে ‍দুই উইকেট নেন মনির হোসেন।

খুলনায় অনুষ্ঠিত ম্যাচে খুলনার বিপক্ষে ২৬১ রানে অলআউট হয়ে গেছে রাজশাহী ডিভিশন। মূলত জাতীয় দলের তারকা বোলারদের দাপটের সামনেই ইনিংস লম্বা করতে পারেননি রাজশাহীর ব্যাটসম্যানরা।

জুনায়েদ সিদ্দিক (৫১) ছাড়া রাজশাহীর অন্যকোনো ব্যাটসম্যান হাফসেঞ্চুরির দেখা পাননি। ফরহাদ হোসেন ৪৫ ও ফরহাদ রেজা ৪১ ছাড়া ত্রিশের ঘরে যেতে পারেনি কেউ।

খুলনার হয়ে ৩৮ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দুটি করে উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান ও রুবেল হোসেন। এছাড়া আল-আমিন হোসেন ও আব্দুর রাজ্জাক একটি করে উইকেট নেন।

বগুড়ার ম্যাচে রাজশাহীর মতো অলআউট হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিস। সিলেট ডিভিশনের কাছে ২৪৬ রানেই গুটিয়ে যায় ঢাকা। তাদের দুজন ব্যাটসম্যান হাফসেঞ্চুরি করেছেন। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সর্বোচ্চ ৬৩ এবং শহিদুল ইসলাম ৫৪ রান করেন।

৪ উইকেট নিয়ে সিলেটের সেরা বোলার রেজাউর রহমান। এনামুল হক জুনিয়র ও অলক কাপালি নেন দুটি করে উইকেট।

মেট্রোপলিস ইনিংসের জবাব দিতে নেমে অবশ্য স্বস্তিতে নেই সিলেটও। স্কোরবোর্ডে ৫ রান উঠতেই ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেনের উইকেট হারিয়েছে তারা। এর মধ্যে আবার এক রান করে রিটায়ার্ড হার্টে গেছেন তৌফিক খান।