ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার সিক্সে নিজ নিজ ম্যাচে জয় পেয়েছে আবাহনী লিমিটেড, লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ এবং শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে আবাহনী জয় ৬ উইকেটে। প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে রূপগঞ্জের জিতেছে ৭ উইকেটে। আর লো-স্কোরিং ম্যাচে মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে একই ব্যবধানে জেতে শেখ জামাল।
শীর্ষ দুই দল আবাহনী ও রূপগঞ্জ জয় পাওয়ায় তাদের পয়েন্ট ব্যবধান আগের মতোই থাকল। আবাহনীর চেয়ে দুই পয়েন্টে এগিয়ে আছে লিজেন্ডসরা। এ দুদলের একটি মুখোমুখি লড়াই বাকি আছে। সেই ম্যাচের ফলাফল শিরোপা নির্ধারণে নিয়ামক হতে পারে। সুপার পর্বে বাকি আছে আর দুটি করে রাউন্ড।
মিরপুরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ঝড়ের সামনে দাঁড়াতে পারেনি প্রাইম ব্যাংকের ব্যাটসম্যানরা। অলক কাপালি ও নাঈম হাসান ছাড়া তাদের কোনো ব্যাটসম্যানই উল্লেখ করার মতো রান পাননি। কাপালি সর্বোচ্চ ৮০ এবং নাঈম করেন ৫১ রান।
সাড়ে নয় ওভারে ৩২ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন সাইফউদ্দিন। দুটি করে উইকেট নেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ও সৌম্য সরকার। একটি উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
বল হাতে দুই উইকেট নিলেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন সৌম্য। দুই বল মোকাবেলা করলেও খাতা খুলতে পারেননি। ভালো শুরুর পরও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি বিশ্বকাপ স্কোয়াডের আরেক ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান। তিনি করেন ২৬ রান।
টপঅর্ডাররা রান না পেলেও মিডলঅর্ডারের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে জয় পেতে সমস্যা হয়নি আবাহনীর। নাজমুল হোসেন শান্তর অপরাজিত ৭৭ রানের সঙ্গে ৬৪ রানের ইনিংস খেলে দলের জয়ে ভূমিকা রাখেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান ওয়াসিম জাফর। শেষদিকে অপরাজিত ৩৩ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন বিশ্বকাপ দলের সদস্য মোহাম্মদ মিঠুন।
প্রাইম ব্যাংকের হয়ে দুটি উইকেট নেন নাঈম হাসান।
সাভারে প্রাইম দোলেশ্বরের ব্যাটসম্যানদের কাবু করেন বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা না পাওয়া তাসকিন আহমেদ। তার ৪ উইকেটের সঙ্গে মোহাম্মদ শহিদ ৩ ও ঋষি ধাওয়ানের ২ উইকেটে পাঁচ ওভার বাকি থাকতে দোলেশ্বর অলআউট হয় ২০৫ রানে।
দলের হয়ে একমাত্র হাফসেঞ্চুরি করার ব্যাটসম্যান সৈকত আলি। দলীয় সর্বোচ্চ ৭২ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন সাইফ হাসান।
দোলেশ্বর ইনিংসের জবাব দিতে নেমে শূন্য রানে উইকেট হারালেও শাহারিয়ার নাফিসের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে জয় পেতে কষ্ট হয়নি রূপগঞ্জের। ১১৩ রান করা নাফিসকে ৪১ ও ৩২ রানের ছোট ইনিংস খেলে সাহায্য করেন মেহেদী মারুফ ও অধিনায়ক নাঈম ইসলাম।
ফতুল্লায় মোহামেডান-শেখ জামালের মধ্যে হয়েছে লো-স্কোরিং ম্যাচ। তানভীর হায়দার ও খালেদ আহমেদের বোলিং তোপে ৫.২ ওভার বাকি থাকতে মাত্র ১৫৯ রানে অলআউট হয় মোহামেডান। সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন তুষার ইমরান। বাকিদের মধ্যে মাত্র দুজন কুড়ির ঘর স্পর্শ করতে পারেন।
৪.৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন তানভীর। খালেদের ঝুলিতে যায় দুই উইকেট। অন্য চার বোলার নেন একটি করে উইকেট।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের অপরাজিত ৮৩ ও ইমতিয়াজ হোসেনের ৫৪ রানে ভর করে সহজেই জয় তুলে নেয় শেখ জামাল। ১৬.৩ ওভার ও ৭ উইকেট হাতে রেখে জিতে যায় তারা।
মোহামেডানের হয়ে শফিউল ইসলাম, সোহাগ গাজী ও সাকলাইন সজীব প্রত্যেকে একটি করে উইকেট নেন।