মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এম এ হান্নানকে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দালাল আইনে যে সমন দেওয়া হয়েছিলো, সেই নথি তদন্ত সংস্থার হাতে এসেছে। এছাড়াও হত্যা গণহত্যার ৬ অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সৈয়দ মোহাম্মদ হুসাইন ও কিশোরগঞ্জের মোসলেম প্রধানের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে তদন্ত সংস্থা।
বুধবার এই মামলাসহ আরও কয়েকটি মামলায় চলতি বছরেই তদন্ত শেষ হবার কথা জানিয়েছে তদন্ত সংস্থা।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক জাতীয় পার্টি সংসদ সদস্য এম এ হান্নানের বিরুদ্ধে তদন্তের সর্বশেষ অবস্থা জানায় তদন্ত সংস্থা।
তদন্ত সংস্থা জানিয়েছে, তাদের হাতে গ্রেফতারের ক্ষমতা না থাকায় আসামীরা পালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনের সংশোধনী চাওয়া হলেও এখনও পর্যন্ত কোন সাড়া পাননি তারা।
চলতি বছরের ১৯ মে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এম এ হান্নানসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন। মামলা আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেন আদালত।
কিশোরগঞ্জের তাড়াইলের রাজাকার, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী হাসান আলীর ভাই স্থানীয় রাজাকার কমান্ডার সৈয়দ মোহাম্মদ হুসাইন এবং রাজাকারের সদস্য মোসলেম প্রধানের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করা হয় প্রায় ১১ মাসে। তাদের বিরুদ্ধে ৬২ জনকে হত্যা, ১১ জনকে অপহরণ ও আটক এবং ২৫০টি বাড়ি লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়।