টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় সাংসদ রানা ও তার তিন ভাইয়ের বাড়ির মালামাল ক্রোক করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার দুপুরে টাঙ্গাইল সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক ভুঁইয়ার নেতৃত্বে এ অভিযান চলে।
অভিযানে এমপি আমানুর রহমান খান রানার ছোট ভাই সাবেক পৌর মেয়র শহিদুর রহমান খান মুক্তির বাসা থেকে একটি ফ্রিজ এবং ছোট ভাই সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার ঘর থেকে একটি আলমারি, একটি বাই সাইকেলসহ কিছু চেয়ার ও টেবিল ক্রোক করা হয়।
এ বিষয়ে, টাঙ্গাইল সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক ভুঁইয়ার জানান, আদালতে নিদের্শে তাদের এ অভিযান চলছে। এ অভিযানে তেমন কোন মালামাল পাওয়া যায়নি। তারা আদালতের নিদের্শনা জেনে পূর্বেই সব মালামাল সরিয়ে ফেলেছে। তবে পর্যায়ক্রমে বাকী আসামীর বাড়ির মালামালও ক্রোক করা হবে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মাহফিজুর রহমান জানান, ইতিপূর্বে আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহম্মদ হত্যার অভিযোগে টাঙ্গাইলের-৩ আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ও তার ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র শহিদুর রহমান খান মুক্তি, কেন্দ্রীয় ছাত্র লীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা ও পরিবহন ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকনসহ ১০জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট জমা দেয়ার পর গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
পরে গত সোমবার ১৬ মে টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক গোলাম কিবরিয়া তাদের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করেন এবং একই সঙ্গে আসামীদের অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে শহরের কলেজ পাড়ায় নিজ বাস ভবনের সামনে থেকে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহম্মদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর নিহত ফারুর আহম্মদের স্ত্রী নাহার আহম্মেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।