প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও গ্রেপ্তারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
বিষয়টির দিকে নজর রাখছে জানিয়ে জাতিসংঘ এটিকে স্পষ্টতই উদ্বেগের বলেছে।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের সাংবাদিককে হয়রানি ও গ্রেপ্তার সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এ কথা বলেন।
জাতিসংঘের স্থায়ী সংবাদদাতা মুশফিকুল ফজল আনসারী সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের প্রসঙ্গ উপস্থাপন করেন জাতিসংঘের ব্রিফিংয়ে।
তার জবাবে মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশে যে সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাকে নিয়ে প্রকাশিত গণমাধ্যমের খবর আমাদের নজরে এসেছে। আমরা নজর রাখছি। এটি স্পষ্টতই উদ্বেগজনক বিষয়।
তিনি বলেন, কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই সাংবাদিকদের কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়টিতে আমাদের অবস্থান খুবই স্পষ্ট। সাংবাদিকদের কোনোভাবেই হয়রানি বা শারীরিক নির্যাতন করা যাবে না। মুক্ত ও স্বাধীনভাবে কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। সেটা বাংলাদেশ কিংবা পৃথিবীর যেকোনো জায়গাই হোক না কেন।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র আরও বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির এ সময়ে বিশ্বে সাংবাদিকেরা যে ভূমিকা রাখছেন, তা আমরা সবাই পর্যবেক্ষণ করেছি। তারা যেখানে, যে অবস্থায় কাজ করুক না কেন, তাঁদের কাজের ক্ষেত্র হতে হবে বাধাহীন।
প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে করোনাকালীন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ প্রকাশ করে আসছেন। নিয়মিত কাজের সুবাদে সেদিন সচিবালয়ে যান। কিন্তু সেখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নথি চুরির চেষ্টা ও মোবাইল ফোনে ছবি তোলার অভিযোগে স্বাস্থ্য সচিবের পিএস’র কক্ষে তাকে পাঁচ ঘণ্টার মতো আটকে রাখা হয়। পরে শাহবাগ থানায় পাঠিয়ে তাকে আটকে রাখা হয়।
পরবর্তী সময়ে আদালতে তুললে পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানায়। কিন্তু আদালত তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর আদালত থেকে প্রিজন ভ্যানে করে তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।