অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ও দণ্ডবিধিতে করা মামলায় কারাগারে থাকা প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকা এবং পাসপোর্ট জমা দেওয়ার শর্তে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বাকী বিল্লাহ রোববার এই জমিন আদেশ দেন। ভার্চুয়াল আদালতে দেয়া এই আদেশের সময় রোজিনা ইসলাম ছিলেন গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে।
আদালতে রোজিনা ইসলামের জামিনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী, আমিনুল গনি টিটো, আশরাফ উল আলম, প্রশান্ত কুমার কর্মকার ও ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুল্লাহ আবু ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান হিরন।
গত সোমবার সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। সেখানে বিকেল তিনটার দিকে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাকে একটি কক্ষে আটক করেন। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে রোজিনা ইসলামকে শাহবাগ থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রাত ৯ টার দিকে তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর রাত পৌনে ১২টার দিকে শাহবাগ থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয় এবং তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী বাদী হয়ে করা এই মামলায় রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩৮৯ ও ৪১১ ধারায় এবং অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের ৩ ও ৫ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
এরপর রোজিনা ইসলামকে গত মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে শাহবাগ থানা থেকে আদালতে নেওয়া হয়। ওইদিন বেলা ১১টার পর তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তোলা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে রোজিনা ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং তার জামিন আবেদন শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করা হয়। আদালতের এই আদেশের পর রোজিনা ইসলামকে কারাগারে নেয়া হয়। পরবর্তীতে গত বৃহস্পতিবার রোজিনা ইসলামের জামিন আবেদনের শুনানি শেষে আদালত আদেশের জন্য ২৩ মে দিন ধার্য করেন।