চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ

লেখালেখির মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করলেন দেশের বিভিন্ন পেশার বিশিষ্টজনেরা।

মিজানুর রহমান খানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে স্মরণ সভার আয়োজন করে হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন। ‘আমাদের একজন মিজানুর রহমান খান ছিলেন’ শীর্ষক এই স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. আবদুল মতিন, সাবেক জেলা জজ মাসদার হোসেন, দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাইদ খান, নিরাপদ সড়ক চাই’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি (বেলা)’র প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মানবাধিকার কর্মী নুর খান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান ও সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফ।

হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের পরিচালনা অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় বিচারপতি এম এ মতিন বলেন, মিজানুর রহমান খান একজন সাংবাদিক হলেও আইন অঙ্গনে তার অবদান জাতি স্মরণে রাখবে।’

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আইনের ভাষাকে মিজানুর রহমান খান সাধারণ জনগণের ভাষাতে পরিণত করতে নিরলস কাজ করে গিয়েছেন।

সাংবাদিক ও কলামিষ্ট আবু সাইদ খান বলেন, আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি সাংবাদিকতার পাশাপাশি গবেষণার কাজটিও চালিয়েছেন।

ড. আসিফ নজরুল বলেন, আইন সাংবাদিকতায় মিজানুর রহমান খান-এর শুন্যতা কোন কালেই পূরণীয় নয়। আমাদের দুর্ভাগ্য তার মতো সাংবাদিক আমরা সচরাচর খুজে পাই না।

সাংবাদিক ইলিয়াস খান বলেন, মিজানুর রহমান খান জানার জন্য সব সময়ই উদগ্রীব থাকতেন। তাঁর সাংবাদিকতার জীবনে জ্ঞানার্জন ছাড়া অন্য কোন দিকে তাঁর তেমন কোনা আগ্রহই ছিল না।

আইনজীবী সৈয়দা রিজয়ানা হাসান বলেন, আইনজ্ঞ হিসাবে মিজানুর রহমান খান বিভিন্ন তথ্যের জন্য আমার সাথে যোগাযোগ করতেন। তার জ্ঞানের সীমা ও জ্ঞান লাভের আকাঙ্ক্ষা আমাকে সব সময় মোহিত করত।

সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, মিজানুর রহমান খান আমাদের জন্য একজন সামাজিক বুদ্ধিজীবি ছিলেন, যা বর্তমান সময়ে আমাদের জাতীয় উন্নতির জন্য খুবই দরকার ছিল।

আজকের অনুষ্ঠানে মিজানুর রহমান খানের সহধর্মিনী, জ্যেষ্ঠ পুত্র সাদমান খান, ছোট ভাই সাংবাদিক মশিউর রহমান খানসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত বছরের ১১ জানুয়ারি মারা যান দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান। তিন দশকের বেশি সময়ের সাংবাদিকতায়, বিশেষ করে আইন-আদালত বিষয়ক লেখালেখির জন্য অনন্য হয়ে ওঠেন সাংবাদিক মিজানুর রহমান খান।