চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

সাংবাদিক মামুনুর রশীদকে শ্রদ্ধা

একুশে টেলিভিশনের সাংবাদিক মামুনুর রশীদকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানিয়েছে তার সহকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।

মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে তার মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। সেখানে দুই দফা নামাজে জানাযা হয়। জানাযা শেষে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, একুশে টেলিভিশনের সিইও মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল,আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হুসেইন প্রমুখ।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘তার সাংবাদিকতা পেশার কেবল সূচনাপর্ব। সে এভাবে আমাদের ছেড়ে যাবে এটা বিশ্বাস করা যায় না। একজন শিক্ষকের পক্ষে তার ছাত্রের অকাল মৃত্যু মেনে নেওয়া কঠিন। সে ছিল একজন বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিক। তার অকাল মুত্যুতে আমাদের যে বড় ধরনের ক্ষতি হল তাতে কোনো সন্দেহ নেই।’

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমি আজ সকালে তার মৃত্যু সংবাদ শুনে বিশ্বাস করিনি। কয়েক জায়গায় ফোন দিয়ে খোঁজ নিই। সবসময় তার সঙ্গে যোগাযোগ হত। তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।’

সোমবার রাত সাড়ে দশটার দিকে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলে সাংবাদিক মামুনুর রশীদকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জন্মদিনের ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগেই সদা হাস্যোজ্বল এ মানুষটির অকাল মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ তার সহকর্মী, আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিতজনরা।

রাতেই তার মরদেহ রাখা হয় বারডেমের হিমঘরে। সেখানে প্রিয় মানুষটিকে এক নজর দেখতে ছুটে যান শুভাকাঙ্ক্ষিরা।

তার প্রথম নামাজে জানাজা বেলা ১১ টায় তার কর্মস্থল একুশে টিভি কার্যালয়ে সম্পন্ন হয়।

মামুনুর রশীদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০০৩-৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। মৃত্যুর আগে একুশে টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজ করেছেন তিনি।