সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা। সবকিছু শুরুও হয়েছিলো ঠিকঠাক। কিন্তু সাংবাদিকদের কড়া প্রশ্ন শোনে হতাশ হন তিনি। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে পোডিয়াম ছেড়ে নিচে নেমে আসেন। হাতে নেন সামনে থাকা স্যানিটাইজারের বোতল। মুখের মাস্ক খুলে ফেলেন। এরপর সাংবাদিকদের দিকে স্যানিটাইজার স্প্রে করতে শুরু করেন।
থাই প্রধানমন্ত্রীর এমন অসৌজন্য আচরণ দেখে বিস্মিত ও হতাবাক হয়ে যান উপস্থিত সাংবাদিকরা।
তারা এই পরিস্থিতির ভিডিও ধারণ করে গণমাধ্যমে প্রকাশ করে দেন। মঙ্গলবার ঘটেছে এমন ঘটনা।ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে এমন পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করা গেছে।
কিন্তু কেন ক্ষিপ্ত হলেন প্রধানমন্ত্রী?
জানা যায়, সাংবাদিকরা তার মন্ত্রিসভার রদবদল সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলেন। মূলত সাত বছর আগে বিক্ষোভ চলাকালে বিদ্রোহ করার জন্য তার তিন মন্ত্রীকে গত সপ্তাহে জেল দেয়া হয়েছে। এতে মন্ত্রিপরিষদে কয়েকটি আসন শূন্য হয়ে যায়। সেসব আসনে নিয়োগ পেতে পারেন এমন কয়েকজনের একটি তালিকা সাংবাদিকরা পেয়েছেন। সেই বিষয়টা নিয়েই প্রশ্ন করেছিলেন তারা।
কিন্তু মন্ত্রিসভা নিয়ে এমন প্রশ্নে ক্ষিপ্ত ও হতাশ হয়ে পড়েন প্রায়ুথ চান-ওচা। এসময় তিনি পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, এছাড়া আর কোনো প্রশ্ন আছে? এই বিষয়ে আমি জানি না। এখনো এমন তালিকা আমি দেখতে পাইনি। এই বিষয়টা কি সবার আগে প্রধানমন্ত্রীর জানা উচিত নয়?
এরপরই তিনি পোডিয়াম ছেড়ে সামনে চলে আসেন এবং মুখের মাস্ক খুলে সাংবাদিকদের দিকে স্যানিটাইজার স্প্রে করতে থাকেন। একপাশ থেকে শুরু করে অন্য পাশে স্প্রে করা শেষ করেন তিনি। এ সময় সাংবাদিকদের মুখ ঢাকতে দেখা গেছে।
এর আগেও সাংবাদিকদের সঙ্গে মন্দ আচরণ করার রেকর্ড রয়েছে থাই প্রধানমন্ত্রীর। একবার এক সাংবাদিকের কান মলে দিয়েছিলেন তিনি। ক্যামেরা পারসনের দিকে কলার খোসা ছুড়ে মারারও রেকর্ড আছে তার।