রাজধানীজুড়ে পুলিশের মাদক বিরোধী সাঁড়াশি অভিযানের কারণে মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির মোহাম্মদপুর জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ওয়াহিদুল ইসলাম। বস্তির ভেতরে থাকা সেইসব ঘরে এয়ার কন্ডিশনার, ফ্রিজ-টিভিসহ নানা বিলাসবহুল ব্যবস্থা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, যে পালিয়ে গেছে সেই মাদক ব্যবসায়ীর জায়গা আর মোহাম্মদপুরে হবে না।
দুপুর ১২টা থেকে চালানো এ অভিযানে মাদক সংশ্লিষ্টতায় সন্দেহভাজন ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ এবং ২০০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদ এলাকার কয়েকটি বস্তিতে অভিযান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযানের সময় প্রতিটা বস্তিতে দৃশ্যমান যে, মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়েছে। বস্তির ভেতরে এয়ার কন্ডিশনার বাসা, টিভি- ফ্রিজসহ বাসার যে অবস্থা, তাতে পরিস্কার তারা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
বস্তিতে মনিরা বেগম নামে একজনের এমন একটি বিলাসবহুল ঘর রয়েছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সেই বাসাটি তালা দেওয়া পাওয়া গেছে। আমরা তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে কাউকে পাইনি, তারা এসি, টিভি, ফ্রিজ রেখেই পালিয়েছে।
আগাম খবর পেয়ে ব্যবসায়ীরা পালিয়ে গেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সারা দেশব্যাপী অভিযানে সাপ্লাই চেইনগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। তারা বিষয়টি বুঝতে পেরে সুকৌশলে এলাকা ছেড়েছে।
অভিযানে কোন নিরীহ মানুষকে হয়রানী করা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা যাদেরকে আটক করেছি, তাদেরকে সন্দেহজনক অবস্থাতেই পেয়েছি। তবে থানায় নিয়ে যাচাই-বাছাই শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোহাম্মদপুর এলাকার অন্যতম মাদক স্পট জেনেভা ক্যাম্পে একাধিকবার অভিযানের পরেও মাদক নিয়ন্ত্রণে নেই, এ বিষয়ে জানতে চাইলে এডিসি ওয়াহিদুল বলেন: জেনেভা ক্যাম্পে আমাদের নজরদারী রয়েছে। শুধু জেনেভা ক্যাম্প নয়, দেশজুড়ে মাদকের পুরো মাঠই পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ নিয়ন্ত্রণ পরিস্থিতি বজায় থাকবে।
বেলা ১২টা থেকে মোহাম্মদপুর এলাকার শিয়া মসজিদ, বাঁশ বাড়ি, মন্দিরের গলি, বালুর মাঠ এলাকায় পাঁচটি বস্তিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশ, কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্য এবং ডগ স্কোয়াড অংশ নেয়।