টার্গেট মাত্র ১৮২। ১৯৯৭ সালের পর এত কম রান তাড়া করতে নেমে হারেনি অস্ট্রেলিয়া। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে যেভাবে তারা খেলছে, তাতে এদিনও হারার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ১৫ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে ৮১ তাদের দলীয় রানের খাতায়।
বাংলাদেশ এর আগে তামিম ইকবালের ৯৫ রানের ইনিংসের কল্যাণে ১৮২ পর্যন্ত যায়। ১১৪ বল থেকে এই রান করেন দেশসেরা ওপেনার। এই নিয়ে তিনবার তিনি ৯৫ রানে আউট হলেন। শেষ ছয় ইনিংসে তার স্কোর ৬৪, ২৩, ৪৭, ৬৫, ১২৮ এবং ৯৫।
তামিম এদিন শুরু থেকে স্বভাববিরুদ্ধ ধীর গতিতে খেলতে থাকেন। প্রথম ৩৭ বল থেকে রান তোলেন ২৩। ৫১ বলে ২৮। অর্ধশতকে পৌঁছান ৬৯ বলে। শেষ পর্যন্ত ১১৪ বল খেলে পাঁচ রানের আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফেরেন।
তামিম যখন এমন হিসেবি, অন্যরা তখন যাওয়া আসার মিছিলে মত্ত। যার শুরু হয় সৌম্য সরকারকে (৩) দিয়ে। অফস্টাম্পের বাইরের বলে যেভাবে খোঁচা দেন, রিপ্লে দেখলে নিজেও হাসবেন। এরপর যান ইমরুল কায়েস (৬)। আগের দিন মুশফিক তামিমকে কিছুটা সঙ্গ দিয়েছিলেন। এদিন সেই তিনিও ফিরলেন ৯ রান করে। সাকিব ছিলেন ২৯ রান করা পর্যন্ত। সাব্বির করেন ৮।
৪৩তম ওভারে স্টার্ক আবার হ্যাটট্রিকের হুমকিতে ফেলেন বাংলাদেশকে। পরপর দুই বলে ফিরে যান মাশরাফি (০) এবং রুবেল হোসেন (০)।
এই অবস্থার ভেতর তরুণ অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ (১৪) দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষদিকে তার লড়াইটা স্কোর বড় করার জন্য যথেষ্ট ছিল না।
স্টার্ক চারটি উইকেট নিয়েছেন। দুইজনকে ফিরিয়েছেন জাম্পা।