‘ওরা যেভাবে শুরু করেছিল তাতে কখনোই মনে হয়নি দেড়শ রানের (১৫৪) ভেতরে অলআউট করে দেবো। আমাদের মধ্যে একটা কথা হচ্ছিল। আমাদের যা কিছু আছে, সবকিছু যেন দিয়ে আসি। যখন দ্রুত উইকেট তুলতে শুরু করলাম, তখন আমার মাথায় একটাই কথা ছিল। আমাদের সর্বস্ব দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ব। আমরা আক্রমণাত্মক হবো। তাসকিন যতটা পেরেছে ততটা গতি দিয়ে বল করেছে।’
সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর এভাবেই সংবাদ সম্মেলনে নিজের প্রতিক্রিয়া জানান বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে প্রোটিয়াদের রীতিমতো নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে টাইগাররা। স্কোরবোর্ডে তাকালে দেখা যাচ্ছে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে এসেছে জয়। তবে লাল-সবুজের দলের ওয়ানডে অধিনায়ক বিষয়টিকে মোটেও সহজভাবে দেখছেন না। ঘরের মাঠে তারা নিকট অতীতে ভারতের মতো শক্তিশালী দলকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল সেটিও স্মরণ করিয়ে দিলেন।
‘সাউথ আফ্রিকায় সিরিজ জেতা খুবই কঠিন। ওদের শেষ সিরিজ যদি দেখেন, তাদের বিপক্ষে ভারতের পূর্ণশক্তির দল ছিল। আমাদের অবশ্যই বিশ্বাস ছিল যে জিততে পারি। কিন্তু আমরা আসলেই অনেক ভালো খেলেছি। আর সত্যি কথা বলতে প্রথমবার সিরিজ জয় বাইরের মাঠে বিশেষ করে সাউথ আফ্রিকায় বলেন, আমাদেরকে গৎবাঁধা বিষয়গুলোর বাইরে গিয়ে সবকিছু করতে হয়েছে।’
‘যতটা সম্ভব ছিল সেরা ক্রিকেটটাই আমাদের খেলতে হয়েছে। প্রথম ম্যাচের (জয়ের) পর আসলে বিশ্বাসটা আসা শুরু হল যে, এখানে ভালো সিরিজ জয়ের ভালো সুযোগ আছে। সিরিজ জিততে পারি। এটা দুর্দান্ত টিম পারফরম্যান্স ছিল।’
স্বাগতিকদের কেবল ১৫৪ রানেই অলআউট করে দেয়া যাবে, তামিম অবশ্য এমনটি মোটেও ভাবতে পারেননি বলেই জানান। তবে কখন প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করার চিন্তা মাথায় এসেছিল, সেটিও বলে দিলেন।
‘অল্প রানের লক্ষ্যও অনেক সময় কঠিন হয়ে যায়। তাই ১৫৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করার আগে দলের সবার কী ভাবনা ছিল? জানতে চাইলে তামিম বলেন, আমরা প্রথম ইনিংস শেষে মাঠে গোল হয়ে যখন কথা বলছিলাম তখন আমার একটাই কথা ছিল আমরা যেন এই ইনিংসটাকে ১৫৪-১৫৫ রানের ইনিংস হিসেবে না নেই। আমরা যেমন চিন্তা করি ২৭০-৮০ রানের ইনিংস তাড়া করছি। আমাদের মানসিকতা এটা ছিল আমরা ১৫৪-১৫৫ রান তাড়া করছি এমন চিন্তা না করে শুধু স্বাভাবিকভাবে ব্যাট করা যতটা সম্ভব আক্রমণাত্মক খেলা।’