টেস্ট ও টি-টুয়েন্টিতে অধিনায়কের পদ থেকে সরফরাজ আহমেদকে বরখাস্ত করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। শুক্রবার উভয় দল থেকে ছেঁটে ফেলা হয় তাকে। অধিনায়কত্বের পাশাপাশি দল থেকেও বাদ পড়েছেন ২০১৭তে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতানো উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান।
সরফরাজকে সরিয়ে টেস্টে অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আজহার আলীকে। আর টি-টুয়েন্টি দলের দায়িত্ব পেয়েছেন দেশটির অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বাবর আজম। তবে ওয়ানডে দলের অধিনায়ক কে হবেন সেই সিদ্ধান্ত পরের বোর্ড মিটিংয়ের পর জানানো হবে। দুদলের সহ-অধিনায়কের নামও জানা যাবে তখন।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ দিয়ে যাত্রা শুরু করবেন আজহার। আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হতে যাওয়া টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত দায়িত্ব পাওয়া বাবরেরও শুরু হবে অজিদের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে।
বিশ্বকাপের পর থেকেই সরফরাজকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছিল। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে মোটেই পারফরম্যান্স করতে পারেননি। সেই ধারা অব্যাহত থাকায় শেষ পর্যন্ত কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হল পিসিবিকে। বোর্ডের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, খারাপ পারফরম্যান্স এবং আত্মবিশ্বাস হারানোর কারণেই বাদ দেয়া হয়েছে সরফরাজকে।
ঘরের মাঠে প্রায় দ্বিতীয় সারির শ্রীলঙ্কার কাছে তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার এক সপ্তাহ পরে এই সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তান। সরফরাজকে সরিয়ে দেয়ার কাজটা ‘কঠিন’ উল্লেখ করে পিসিবি প্রেসিডেন্ট এহসান মানি বলেছেন, সবার আগে দলের ভালোটাই দেখতে হবে।
২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অভিষেক হওয়া আজহারকে টেস্ট ব্যাটিং লাইনআপে ইউনিস খান ও মিসবাহ-উল হকের পর সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মনে করা হয়। ৭৩ টেস্টের ক্যারিয়ারে ১৫ সেঞ্চুরি ও ৩১ হাফসেঞ্চুরিতে ৫,৬৬৯ করেছেন আজহার। চলতি কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতেও দারুণ ফর্মে আছেন। চার ম্যাচে ৩৮৮ রান নিয়ে সবার উপরেই তার নাম।
অন্যদিকে, টি-টুয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের একনম্বর ব্যাটসম্যান বাবর আজমের আগেও অধিনায়কত্ব করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ২০১২ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলের অধিনায়ক ছিলেন। সর্বশেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজেও দলের সহ-অধিনায়ক ছিলেন। কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে সেন্ট্রাল পাঞ্জাবকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রতিভাবান এ ব্যাটসম্যান। যেখানে দুদিন আগেই ৫৯ বলে অপরাজিত ১০২ রানের ইনিংস খেলেছেন।
আগামী মাসে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দুই ম্যাচের সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। ব্রিসবেনে প্রথম টেস্ট শুরু ২১ নভেম্বর। আর দিন-রাতের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ৩ ডিসেম্বর। ওই সিরিজের পরই ঘরের মাঠে বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলার কথা রয়েছে পাকিস্তানের।