বর্তমান সরকারকে সরাতে নানা রকম ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে-বিদেশে গোপন বৈঠকের খবর সরকারের কাছে আছে। আমরা সব কিছু পর্যবেক্ষণ করছি। ঠাণ্ডা মাথায় আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবো।
সোমবার বিকালে রাজধানীর গুলশান ইয়ূথ ক্লাব মাঠে ঢাকা উত্তর মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি চায় নাকি পাকিস্তানের পৃষ্টপোষককে ক্ষমতায় দেখতে চায়।
ষড়যন্ত্রের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন: আপনাদের বলতে চাই সময় ভালো যাচ্ছে না। আমাদের ঘরে ঘরে দৃঢ় অবস্থান গড়ে তুলতে হবে। চক্রান্ত আছে; আমরা সেটা ঐক্যবদ্ধ ভাবে মোকাবেলা করতে হবে। খবর পাচ্ছি দেশ বিদেশে শেখ হাসিনার সরকারের বিরূদ্ধে চক্রান্ত চলছে।
‘একটা কথা মনে রাখবেন জনগনকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোন চক্রান্ত আমাদের ক্ষতি করতে পারবে না। প্রতিপক্ষ বুঝতে পেরেছে জনগন তাদের চায় না। এ জন্য ক্ষমতায় আসার জন্য চক্রান্তের চোরাগলি বেছে নিয়েছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন: কয়েকদিন আগে ভারতীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে একটি কনফারেন্সে বলেছিলাম, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের বিকল্প শক্তি পাকিস্তানের বন্ধু। এখন জনগনকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির সঙ্গে থাকবে নাকি পাকিস্তানী দোসরদের সঙ্গে থাকবে।
৭১’এর পরাজিত পাকিস্তান এখনও পিছু ছাড়েনি মন্তব্য করে তিনি বলেন: ঐ পাকিস্তানিরা এখনও আমাদের বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের আদালতে একজন নেত্রীর কারাদণ্ড হয়েছে। তারা তাদের পার্লামেন্টে এটা নিয়ে কটাক্ষ করে! এরা পেছনে লেগেই আছে।
পাকিস্তানের থেকে এখনকার বাংলাদেশ সকল সূচকেই এগিয়ে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন: তাদের শুধু পারমাণবিক বোমা আছে। যেটা আমাদের নেই। আমরা চাইও না। আমাদের বোমা ১৬ কোটি জনগণ। যা তাদের পারমাণবিক বোমা থেকেও শক্তিশালী।
খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডে বিএনপির স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন: খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের পর বিএনপির নেতারা মনে করেছিলেন সারা দেশের রাস্তায় লক্ষ লক্ষ মানুষ নেমে আসবে। কিন্তু তাদের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। দেশেথর জনগন এখন আর নির্বাচনমূখী আন্দোলন চায় না।
তার বক্তব্যে ৭ মার্চে আওয়ামী লীগের সমাবেশ সফল করা আহ্বান জানিয়ে বলেন, ৭ মার্চ নিয়ে বিশ্ব স্বীকৃতির পর এবার আমরা চাইবো নতুন ব্যঞ্জনায় ৭ মার্চ আমরা পালন করবো। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে সব থেকে বড় সমাবেশের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।