প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার অর্থনীতি ও সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে শ্রমিক অধিকারের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েছে এবং শ্রমিকদের অধিকার রক্ষঅয় কাজ করে যাচ্ছে।
সোমবার নিউ ইয়র্কের সন্ধ্যায় কনভেইন কনফারেন্স সেন্টারে গ্লোবাল ডিল ফর ডিসেন্ট ওয়ার্ক এ্যান্ড ইনক্লুসিভ গ্রোথ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের ফলোআপ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সুইডেনের সহায়তায় গ্লোবাল ডিল ফর ডিসেন্ট ওয়ার্ক উন্নয়ন কার্যক্রমের উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে, সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত হলে সবার চাকরি হবে এবং শ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, সোশ্যাল ডায়ালগ এবং হারমোনিয়াস ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশন্স প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার ব্যাপক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের আওতায় ‘বেটার ওয়ার্ক প্রোগ্রাম’ বাস্তবায়ন শুরু করেছে। আরএমজি খাতের শ্রম ইস্যুসমূহ সমাধানে কার্যকর ত্রিপক্ষীয় পরামর্শক পরিষদ গঠন করা হয়েছে। সম্প্রীতিপূর্ণ শিল্প সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের শ্রম খাতে সামাজিক সংলাপে সহায়তার লক্ষ্যে সরকার, শ্রমিক নেতা, ব্যবসায়ী সম্প্রদায় ও মালিকদের সমন্বয়ে এই পরামর্শক পরিষদ গঠিত হয়েছে।
গত বছরের গ্লোবাল ডিল ফর ডিসেন্ট ওয়ার্ক অ্যান্ড ইনক্লুসিভ গ্রোথ বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শ্রমিক পরিস্থিতির অগ্রগতি এবং এ ক্ষেত্রে সামাজিক সংলাপ জোরদারে ভবিষ্যত প্রচেষ্টার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হয়। সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্টেফান লোফেন, আইএলও মহাপরিচালক গাই রেডার ও অর্গাানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) মহাসচিব অ্যাঞ্জেল গুররিও অনুষ্ঠান বক্তব্য রাখেন।
শেখ হাসিনা বলেন, গত নয় বছর ধরে বাংলাদেশ গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের নিরলস প্রচেষ্টায় আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে। সরকার শ্রম আইনে পরিবর্তন এনে তা ‘শ্রমিকবান্ধব আইনে পরিণত করেছে, যা কর্মপরিবেশের উন্নয়নে অবদান রাখছে।’
তিনি আরো বলেন, পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি গত পাঁচ বছরে তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে শ্রমিকদের উন্নত জীবন-জীবিকা এবং কর্মপরিবেশ ও তাদের উপার্জনের স্থিতি নিশ্চিত হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমুখী পদক্ষেপের সুবাদে নাগরিকদের মাথাপিছু আয় গত নয় বছরে অন্তত তিন গুণ বৃদ্ধি এবং দারিদ্র্য দূরীকরণেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।