আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকার বিরোধী লিফলেট বিতরণ করছে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীর। শুধু তাই নয় ওই লিফলেটে তারা খিলাফত প্রতিষ্ঠার কথাও প্রচার করছে।
রাজধানীর ধানমন্ডি ও মিরপুর এলাকা থেকে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে হিযবুত তাহরীরের ৫ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-৪।
আটকরা হলেন- মিরাজ ওরফে আব্দুল্লাহ, মনিরুজ্জামান ওরফে পলাশ, মারুফ আহমেদ ওরফে শিবলী, মীর্জা আমিনুর রহমান ও ডা. মহিউদ্দিন ফারুক। তাদের কাছথেকে বিপুল পরিমাণ জিহাদি লিফলেট, বই, ম্যাগাজিন, ল্যাপটপ, মোবাইল ও ট্যাব উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাওরান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) ডিআইজি খন্দকার লুৎফুল কবীর।
তিনি বলেন, উদ্ধারকৃত লিফলেটগুলোর মধ্যে একটির শিরোনাম নির্বাচনকালীন সহিংসতা এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল গণতান্ত্রিক রাজনীতির অবিচ্ছেদ্য অংশ-“দায়িত্বশীল রাজনীতির ধারা” মহিমান্বিত খিলাফত ব্যবস্থার অধীনেই অর্জন গত ৯ এপ্রিল হিযবুত তাহরীর সদস্যরা একত্রিত হয়ে মিরপুর ১০ এলাকায় সংগঠনের লিফলেট বিতরণ করে। এছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময় লিফলেট বিতরণ করেছিল তারা।
নিষিদ্ধ ঘোষিত এ সংগঠনটি কোরআন ও হাদীসের বিভিন্ন আয়াতের খন্ড অংশ লিফলেটে উপস্থাপন করে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করতো বলেও জানান র্যাব-৪ এর অধিনায়ক।
তিনি বলেন, আমিনুর একজন সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা। তিনি দশ বছর ধরে এ নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। সে হিযবুতের বড় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে।
ডা. মহিউদ্দিন একজন ডেন্টিস্ট। মনিরুজ্জামান ও মিরাজের সঙ্গে তার আগে থেকেই যোগাযোগ ছিল। তিনিও বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ করেছে।
লুৎফুল কবীর বলেন, মারুফ পেশায় একজন আর্কিটেক্ট। তিনিও এ নিষিদ্ধ সংগঠনের কর্মী সংগ্রহকারী ও অর্থের অন্যতম জোগানদাতা। মিরাজ মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে অনার্স ৩য় বর্ষে পড়ছে। তার বন্ধু আব্দুল্লাহ এর মাধ্যমে সে এই সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। পরে সে বিভিন্ন সময় হিযবুতের লিফলেট বিতরণ করে।
মনিরুজ্জামান পেশায় প্রকৌশলী। তিনি একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। তিনি এ সংগঠনের কর্মী সংগ্রহকারী ও অর্থের অন্যতম যোগানদাতা।