পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন শেষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় ছোট দলগুলোকে নিয়ে ইমরান খান সরকার গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন; অন্যদিকে নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলই নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে নতুন করে নির্বাচনের দাবি তুলেছে।
শুক্রবার নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ সম্মেলন করে ৬৪ আসন পেয়ে দ্বিতীয় হওয়া নওয়াজ শরীফ ও শাহবাজ শরীফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)। এ সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তান মুসলিম লীগ ছাড়াও মুত্তাহিদা মজলিস-ই-আমলসহ (এমএমএ) বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা যৌথভাবে ফল জালিয়াতির অভিযোগ করেন।
অবশ্য শুক্রবার সকালেই পিএমএল-এন প্রার্থী শাহবাজ শরীফ বলেছিলেন, ইমরান খানের বিজয় মেনে নিলেও নির্বাচনের ফল নিয়ে তার আপত্তি রয়ে গেছে। তার দল নতুন পার্লামেন্টে অংশ নেবে বলেও জানান তিনি।
ওই সংবাদ সম্মেলনে অংশ না নিলেও পৃথক সংবাদ সম্মেলনে নিহত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছে। অনতিবিলম্বে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করেছেন পিপিপি’র চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি।
তবে এসব কিছুর পরও সাবেক তারকা ক্রিকেটার ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সরকার গঠনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে নানাভাবে। ফল ঘোষণার ঢিলেঢালা প্রক্রিয়ায় এ পর্যন্ত ঘোষিত ১৬৭টি আসনের মধ্যে ১১৫টি আসন পেয়েছে দলটি। সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে অন্তত ১৩৭টি আসন পেতে হতো।
কিন্তু এখনো তা না পাওয়ায় জোট গঠনের উদ্দেশ্যে কমবেশি আসন পাওয়া অন্যান্য বেশ কিছু দলের সঙ্গে আলোচনা করছেন পিটিআই নেতা জাহাঙ্গির তারিন। ইতোমধ্যে মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তানের (এমকিউএম-পি) আহ্বায়ক ড. খালিদ মকবুল সিদ্দিকির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন তিনি।
এরপরই এমকিউএম-পি ঘোষণা দেয় যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ না নেয়ার। অথচ একদিন আগেই দলটি নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছিল।
এর কিছু সময় পর ডনের পক্ষ থেকে পিপিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে দলের মুখপাত্র ফরিদ চৌধুরী দাবি করেন, পিটিআই ১৩৭টির বেশি আসনের ব্যবস্থা করতে সফল হয়েছে। সুতরাং দলটি এখন সরকার গঠন করতে পারবে।