সরকার কারসাজি করে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে সরিয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই সঙ্গে বর্তমান সময়কে অত্যন্ত মারাত্মক উল্লেখ করে এখান থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে মুক্ত করার জন্য আন্দোলনের কোন বিকল্প পথ নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ঐতিহাসিক শহীদ জেহাদ দিবস’ উপলক্ষে ৯০ এর স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র গণঅভ্যূত্থানের বীর শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের ২৭তম শাহাদাৎ বাষির্কীতে এ স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির একটিই অপরাধ ছিল আর সেটি হচ্ছে তিনি সত্য এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। বিচার বিভাগকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ করে দিতে চেয়েছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘ষোড়শ সংশোধনী রায়ের পর ক্ষুদ্ধ সরকার দেশে বহু প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করতে উঠে পড়ে লেগেছে। গণমাধ্যমে প্রচার হওয়া খবরে ইতোমধ্যে দেশবাসী বুঝতে পেরেছে কারসাজি করেই যে প্রধান বিচারপতিকে সরিয়ে দিচ্ছে সরকার।’
মহাসচিব আরও বলেন, আমাদের আর কোন কিছু নেই। একাত্তর, নব্বইয়ে আমরা যা অর্জন করেছিলাম তা এই হায়েনার সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। সর্বশেষ আমাদের আশ্রয় নেয়ার সর্বশেষ সম্ভাবনাটুকুও তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। আমাদের আর পেছনে তাকানোর সুযোগ নেই।
ফখরুল উপস্থিত তরুণদের লক্ষ্য করে বলেন, এখানে যারা উপস্থিত তাদের অধিকাংশই তরুণ। আমি তাদের চোখে-মুখে বিদ্রোহের ছাপ দেখতে পাচ্ছি। আমাদের তরুণদের লড়াই করতে হবে। আমাদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে, অনেক বিপদ আসবে, অনেক ত্যাগ শিকার করতে হবে।
সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ওরা জানে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে এবং মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারলে আওয়ামী লীগ কখনো ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তাই সুষ্ঠু নির্বাচন দিবে না সরকার। তারা ফুটবল খেলার মতো খালি মাঠে ড্রিবলিং করে গোল দিতে চায়। কিন্তু আমাদেরকে এই ভয়াবহ নীলনকশা নস্যাৎ করে দিতে হবে। নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে।
সংগঠনের সভাপতি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ।