চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম শুরু

২০১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে দেশের সবগুলো মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে হাতে লেখা আবেদনের পরিবর্তে অনলাইনে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে। ২০১৬ শিক্ষাবর্ষে ১৭৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থাকছে এই কার্যক্রমের আওতায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেছে, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী কোনো পাবলিক পরীক্ষা না হলেও অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত টেনশনে রাখছেন।

চট্টগ্রাম মহানগর ছাড়া দেশের বিভাগীয় ও জেলা সদরের ৩৩৫টির মধ্যে ১৭৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০১৬ শিক্ষাবর্ষে অনলাইনে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ভর্তির বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে http://gsa.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে।

ঢাকার ধানমন্ডি গভর্নমেন্ট বয়েজ হাই স্কুলে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। উন্নয়ন পরিকল্পনায় সরাসরি শিক্ষার্থীদের যুক্ত করেছে সরকার। এ কারণে এ খাতে বিনিয়োগও বেশি।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট তারানা হালিম বলেন, ২০১৭ সালের মধ্যে ভর্তির আবেদনকারীর সংখ্যা ১০ লাখে উন্নীত হবে। ২০১৮ সালের মধ্যে তা বেড়ে হবে ৩০ লাখ। এর মধ্যে ১০ হাজার সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়কে এ কার্যক্রমের আওতাভুক্ত করা হবে বলে জানান তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের ধরে রাখতেই অস্থায়ী ভাবে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা চালু করা হয়। পাবলিক পরীক্ষা হচ্ছে শুধু মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। এই পরীক্ষাকে জাতীয় রূপ দেওয়া হয়েছে এবং একই প্রশ্নপত্রে সব স্থানে পরীক্ষা হয়। এর মাধ্যমে সবাই ফলাফলে সমতা অর্জনের চেষ্টা করবে এ জন্যই এ ব্যবস্থা।

তবে কিছু কিছু স্কুল আর অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের এ জন্য অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করছেন বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, কিছু কিছু অভিভাবকের টাকা অনেক বেশি। অনেকের আবার সন্তানদের দিয়ে সাংঘাতিক কিছু করে দেখানোর আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই তারা অযথা কোচিংসহ বিভিন্ন জায়গায় ছুটোছুটি করে নিজেরাই চাপ নেন।

এই কার্যক্রমের ফলে স্বচ্ছতা আরো বাড়বে বলে মনে করেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা। অনলাইনে এভাবে ভর্তির কাজ হলে প্রক্রিয়া নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না। অন্যদিকে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরাও অনেক ঝামেলা থেকে বেঁচে যাবেন বলে মন্তব্য করেন তারা।

আগামী ১৩ ডিসেম্বর রাত ১১ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে ভর্তির আবেদন করা যাবে।