প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশ যখন ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক ব্যবহার শুরু করবে তখন বাংলাদেশও করবে।
তিনি বলেন, সরকারের সকল পর্যায়ের কার্যক্রম যখন পুরোপুরি ডিজিটাইজ হয়ে যাবে তখন দুর্নীতি থাকবে না।
বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সংসদ সদস্যদের জন্য ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ: সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় তথ্য ও প্রযুক্তি’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধন পর্বে প্রধান আলোচক হিসেবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, তিন শ’ সরকারি সেবা ইতোমধ্যে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আনা হয়েছে এবং অল্প সময়ের মধ্যে বাকি এক হাজার সেবাকে ডিজিটাইজ করা হবে। আমাদের দেশে দেড় হাজারের কাছাকাছি সরকারি সেবা রয়েছে। ইতোমধ্যে যেহেতু অবকাঠামো তৈরি হয়ে গেছে এবং একে একে নতুন নতুন সেবা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে উঠে আসছে সুতরাং বাকি সেবাগুলো মানুষের হাতের মুঠোয় নিয়ে আসতে আর অল্প সময় লাগবে।
জয় বলেন, ইতোমধ্যে কাগজের ব্যবহার কমে গেছে। অনেক সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে আর আগের মতো কগজপত্র লাগছে না। আঙ্গুলের একটি ছাপই যথেষ্ট।
এতে করে মানুষের সময় বাঁচানো এবং সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে মানুষের খরচের অন্তত ৬০ শতাংশ কমানো গেছে বলেও জানান জয়।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় সংসদ আয়োজিত এই কর্মশালায় স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া। কর্মশালায় সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রীরা অংশ নেন।
এসময় সংসদ সদস্যদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে জয় বলেন, একটি কথা সবাইকে মনে রাখতে হবে যে, সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে এখন আর সব কাগজপত্রের দরকার নাই। ব্যক্তির পরিচয় এবং তথ্য আমাদের প্ল্যাটফর্মগুলোতে রয়েছে। সুতরাং ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য বারবার একই তথ্য নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, আগে যে কাজ করতে দুই সপ্তাহের মতো সময় লাগতো সেবা ডিজিটাল হওয়ার কারণে এখন সেই কাজ মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে শেষ করা যাচ্ছে।
সাফল্য হিসেবে তিনি গত দশ বছরে দেশব্যাপী এক লাখ ২০ হাজার কিলোমিটার ফাইবার অপটিক্যাল কেবল স্থাপনকে বড় করে দেখছেন বলে জানান। তাছাড়া দেশের এক মাথা থেকে আরেক মাথায় মুহূর্তেই টাকা পাঠানোকে বড় সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করেন জয়।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, দুর্নীতি মুক্ত দেশ গড়তে সকলকে আইসিটির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।কেবলমাত্র আইসিটি দিয়ে মানুষের জীবনমানের যতোটা উন্নয়ন করা সম্ভব সেটি আর কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
আলোচনায় স্পিকারও জয়ের সঙ্গে একমত উল্লেখ করে বলেন, দুর্নীতি মুক্ত দেশ গড়তে আইসিটির কোনো বিকল্প নেই।