দ্রুত আরেকটি নির্বাচন দিতে সরকারকে বুঝানোর জন্য কূটনীতিকদের কাছে আর্জি জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
রোববার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে এই অনুরোধ জানিয়েছেন বলে ড. কামাল হোসেন জানিয়েছেন।
বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ড. কামাল হোসেনের কাছে কূটনীতিকদের সঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে ভালো আলোচনা হয়েছে। আমরা বলেছি যে, তোমরা সরকারকে বুঝাও যে এই সংকটের সমাধান করতে হলে আরেকটি ভালো নির্বাচন দিতে হবে।
কামাল হোসেন বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে সব ঘটনা ঘটেছে সেসব তুলে ধরেছি আমরা। যেসব তথ্য-উপাত্ত দিয়েছি সেসব তারাও দেখেছেন। কাজেই এসব নিয়ে কোনো বিতর্ক হয়নি। নির্বাচন ভালো হয়নি এ ব্যাপারে তাদের কোনো দ্বিমত নেই৷
ড. কামাল আরো বলেন, তারা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন, তোমরা কি চাও? আমরা বলেছি এই নির্বাচনটি হয়নি। আরেকটি ভালো নির্বাচন সরকার দিলে শান্তিপূর্ণভাবে সবাই ভোট দিতে পারবে। এটা হলে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে এবং সবাই মিলে উজ্জ্বল ভবিষ্যত করতে পারবে।
সরকার মন্ত্রিসভা গঠন করছে এবিষয়ে কী বলবেন জানতে চাইলে কামাল হোসেন বলেন, এটা তারা করবে স্বাভাবিক। আরেকটি নির্বাচনও তারা দিবে।
বৈঠক শেষে ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী বলেন, নির্বাচনে জয়ী ৭ জন সংসদে যাবেন কিনা জানতে চেয়েছেন কূটনীতিকরা। আমরা জানিয়েছি, আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত আসবে। নির্বাচন প্রসঙ্গে কূটনীতিকরাও বলেছেন- মাঠে খেলোয়াড় ছিলো না। তারা আমাদের দেওয়া তথ্য-উপাত্ত নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেননি।
বিকেল সোয়া চারটায় রাজধানীর হোটেল আমারিতে এ বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে কূটনীতিকদের মধ্যে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রান্স, নরওয়ে, সুইডেন, স্পেন, ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড, পাকিস্তান (ভারপ্রাপ্ত), কানাডা(সহকারী), জার্মানি, তুরস্ক, মরক্কো, রাশিয়া (ফার্স্ট সেক্রেটারি), জাপান, মালয়েশিয়া, নেপাল, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিরা৷
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড: কামাল হোসেন, মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের প্রতীকে অংশ নেয়া প্রার্থী গোলাম মাওলা রনি, আফরোজা আব্বাস, কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে।