গুণী শিল্পী হিসেবে সমাদৃত চিত্রশিল্পী ও চলচ্চিত্র পরিচালক খালিদ মাহমুদ মিঠুর আকস্মিক মৃত্যুতে শোকে আচ্ছন্ন দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গন। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রখ্যাত এ চলচ্চিত্র নির্মাতার দুঃখজনক ও আকস্মিক মৃত্যুতে শোকাভিভূত বন্ধু-বান্ধব, সতীর্থ-শুভানুধ্যায়ীরা।
ধানমন্ডির বাসায় দীর্ঘদিনের বন্ধুকে শেষ দেখা দেখতে এসে বরেণ্য চিত্রশিল্পী হাশেম খান বলেন, এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া খু্ব কষ্টকর।
তিনি একাধারে সংস্কৃতির মানুষ, দক্ষ সংগঠক এবং পুরোদস্তে একজন শিল্পী ছিলেন। এই রাজধানীতে এমন বয়স্ক গাছগুলো চিহ্নিত করা দরকার। এবং সেই সাথে নাগরিকদের জীবন রক্ষার্থে সিটি কর্পোরেশনের উচিত এমন গাছ কেটে ফেলা।
পরিচালক ও অভিনেতা তৌকির আহমেদ বলেন, দীর্ঘদিনের পরিচয় মিঠু ভাইয়ের সঙ্গে, তার এমন মৃত্যু সত্যিই দুঃখজনক।
অভিনেত্রী সুবর্ণা মোস্তফা বলেন, মিঠু সৃজনশীল মানুষ ছিলেন। একজন বন্ধু হিসেবে, একজন বাবা হিসেবে, একজন স্বামী হিসেবে চমৎকার মানুষ ছিলেন।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দিন বাচ্চু বলেন, মৃত্যুটা আকস্মিক, বন্ধুর এমন মৃত্যু আমাদের স্তব্ধ করে দেয়। এভাবে একজন মানুষ মারা যেতে পারে ভাবা যায় না, সত্যিই কষ্টদায়ক।
এখন সময় হয়েছে বৃক্ষ বা দালান এগুলো নিয়ে সরকারের ভাবার। বিশেষ করে নগর পিতাদের এই বিষয়গুলো নিয়ে দায়িত্বশীল হতে হবে।
ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর বলেন, মিঠু সব কিছুতেই আমাদের জন্য অনেক অনেক কিছু করে গেছে, তার মৃত্যুটাও জানিয়ে গেল এইভাবে আমরাএই শহরে অরক্ষিত।
চলচ্চিত্র জগত এবং মিডিয়া জগতের নেপথ্যের কারিগর খালিদ মাহমুদ মিঠু’র কর্মজীবন শুরু বাংলাদেশ টেলিভিশনে।
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইয়ের অনুষ্ঠান বিভাগের প্রথম চিত্রগ্রাহক ছিলেন তিনি। শিক্ষাজীবন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগে উচ্চশিক্ষা শেষ করে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছেন পর্দার নেপথ্যে।