সরকারের মেয়াদ পূর্তির শেষ বছরে মন্ত্রিসভায় যোগ হয়েছে চার মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী। তাদের মধ্যে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, মোস্তফা জব্বার ও শাহজাহান কামালকে পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে শপথ পাঠ করিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। আর প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন কাজী কেরামত আলী। মন্ত্রিসভার বর্ধিত এই আকারে রাষ্ট্রের যাবতীয় কাজ আরও গতিশীল হবে বলে আমরা মনে করি। তাই নতুন মন্ত্রীদের পথচলার শুরুতে আমরা তাদেরকে অভিনন্দন জানাই। চলতি বছর নির্বাচনের বছর হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষপটে যেকোন সরকারের নির্ধারিত মেয়াদের শেষ বছর সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করা অনেক চ্যালেঞ্জিং একটি বিষয়। এমন পরিপ্রেক্ষিতেও নতুন মন্ত্রীরা নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও রক্ষায় অবদান রাখতে সক্ষম হবেন বলে আমরা আশা করি। একদিকে পুরোদেশ যখন নতুন মন্ত্রিসভার শপথ আয়োজনের আনন্দঘন মূহুর্তের অপেক্ষায় ঠিক সেই সময়েই রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বিএনপির ছাত্র সংগঠনের পূর্ব নির্ধারিত এবং অনুমতিপ্রাপ্ত অনুষ্ঠানে হঠাৎ করেই বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের সভাস্থলে ঢুকতে বাধা দেয়া হয়। পরবর্তীতে তারা রাস্তায় অপেক্ষা করে সেখানেই সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিলে একপর্যায়ে হল রুম খুলে দেয়া হয়। নতুন মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণের দিন অতি উৎসাহী হয়ে বিরোধীপক্ষের সঙ্গে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা কারা ঘটালো সেটাও খুঁজে বের করা জরুরি। তাদেরকে উস্কানি দিয়ে কথিত আন্দোলনের নামে যারা দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে চায় তারা আসলেই কি নতুন মন্ত্রী এবং পুরো সরকারকে সঠিকভাবে দেশ পরিচালনার সুযোগ দিতে চায়? সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই ভেবে-চিন্তে এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে। মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যরা দেশের মানুষের জন্য নিজেকে নিয়োজিত করে নিজ নিজ ক্ষেত্রে সফল হোন।