তথ্যপ্রমাণ পেলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন।
তিনি বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধেই সাক্ষী প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। সে যে কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার লোক হোক না কেন।’
শনিবার নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ফল-২০১৯ সেমিস্টারের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
দুর্নীতি ও বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাটের নাম গণমাধ্যমে আসছে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা যার (সম্রাট) নাম বলছেন, সে ছাড়াও আমাদের সরকারের অন্য কেউ কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়ালে তার বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা কাউকে ছাড়ছি না। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাব তাকেই আইনের আওতায় নিয়ে আসব।’
জি কে শামীমের বিষয়ে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘শামীম কিভাবে এতগুলো টেন্ডার পেয়েছে, সেটি অন্য বিষয়। তার বিরুদ্ধে বিস্তারিত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যাদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ হাতে আসছে তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য একটা চ্যালেঞ্জ মনে করেন। তারই নির্দেশনায় একের পর এক যারা দুর্নীতি করছেন, নিয়ম ভাঙছেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন কিংবা অবৈধভাবে কোনও ঘটনা ঘটাতে চাচ্ছেন সেগুলোকে লক্ষ্য রেখে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। অভিযান চলছে, অভিযান অব্যাহত থাকবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় প্রতিজ্ঞ-আমরা যেভাবে এগিয়ে চলছি ‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি)’ বা টেকসই উন্নয়নের জন্য সাসটেইনেবল পিচের দরকার, সাসটেইনেবল পিচ যদি পেতে হয় তাহলে সাসটেইনেবল সিকিউরিটি দরকার। সেই সিকিউরিটি আমরা নিচ্ছি। যেখানে দুর্নীতি, যেখানে নিয়ম ভঙ্গকারী যারাই আছে তাদেরকে আমরা বিচারের মুখোমুখি করব। কেউ আনপানিস্ট (শাস্তি থেকে বাদ) যাবে না।’