বাতিঘর সাংস্কৃতিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে তিনদিন ব্যাপী ‘সম্প্রীতি-বাতিঘর নাট্য উৎসব ২০১৮’ রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সবার জন্য উন্মুক্ত এই নাট্য উৎসব ২৭ অক্টোবর শেষ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত নাট্য শিক্ষক ড. বিপ্লব বালা, বাংলা একাডেমির উপপরিচালক ড.তপন বাগচী এবং সম্প্রীতি প্রকল্পের প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাহরিয়ার মান্নান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাতিঘর সাংস্কৃতিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মেহেদী হাসান শোয়েব।
উৎসবের উদ্বোধনী দিনে পরিবেশিত হয় বায়তুল মোশাররফ সিনিয়র মাদ্রাসার নাটক -‘কোরআন সূত্রের জিহাদিগণ’, ড্যাফোডিল অলস্টারস এর নাটক ‘গাহি সাম্যের গান’, বঙ্গরঙ্গ নাট্যদল-এর নাটক ‘সৎপথ’ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ‘ওয়ার্ড নং ৬’।
দ্বিতীয় দিনে শুক্রবারে মঞ্চায়িত হয়েছে বাতিঘর সাংস্কৃতিক বিদ্যালয়ের বনশ্রী শাখার নাটক ‘সুন্দরমন’, ওয়ারী শাখার নাটক ‘জুতা আবিষ্কার, লালমাটিয়া শাখার নাটক ‘তাশের দেশ’ এবং ড্যাফোডিল রোটার্যাক্ট ক্লাবের নাটক ‘খুকির জীবন কাহিনী’। এদিন অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খ্যাতিমান নাট্যকার ও নির্দেশক অলক বসু।
উৎসবের শেষ দিনে তিনটি নাটক পরিবেশিত হয়। বাতিঘর সাংস্কৃতিক বিদ্যালয়ে রমিরপুর শাখা মঞ্চায়ন করে ‘মানুষ’ এবং উত্তরা শাখা মঞ্চায়ন করে বাল্মীকি প্রতিভা। সবশেষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দল পরিবেশন করে ‘গ্রন্থিকগণ কহে’।
‘বিভাজন নয় সম্প্রীতি, সহিংসতা নয় ভালোবাসা’ এই থিম নিয়ে অনুষ্ঠিত নাট্য উৎসবের শেষ অংশে নাটকগুলোর মূল্যায়ন করে বক্তব্য রাখেন ড.বিপ্লব বালা। সমাপনী বক্তব্য দেন সম্প্রীতির ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাহাজাদি বেগম।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর ‘সম্প্রীতি’ প্রকল্পের আওতায় বাতিঘর-এর ‘বাতায়ন’ (বাতিঘর’স অ্যারেঞ্জমেন্ট ফর ইওথ এনগেজমেন্ট টু নন-র্যাডিকেলাইজেশন) প্রকল্পের প্রথম আয়োজন ছিল ‘সম্প্রীতি-বাতিঘর নাট্য উৎসব ২০১৮’। এই প্রকল্পের অধীনে এরপরে নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে নাট্য উৎসবসহ বৃহত্তর ঢাকার অন্যান্য জেলাগুলোতেও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।