জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। বর্তমান সংসদের ২১তম এ অধিবেশন চলবে ১২ জুলাই পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ২৮ জুন তা পাস হওয়ার কথা।
নতুন বাজেট নিয়ে নানা ধরনের অালোচনা চলছে। আলোচনার কেন্দ্র আগামী সংসদ নির্বাচন। সেই নির্বাচনে ভোটারদের মন জয় করতে সরকার কোন কোন খাতে সুবিধা দেবে? সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিরা কি পাচ্ছেন? বেসরকারি খাতে কোন কোন ক্ষেত্রে করমুক্তি কিংবা বিশেষ প্রণোদনা থাকছে? ইত্যাদি ইত্যাদি।
আগামী অর্থবছরের বাজেট নিয়ে অর্থমন্ত্রী যে ধারণা দিয়েছেন; তাতে নিশ্চিতভাবেই বলা যায় নির্বাচনী বছরের এ বাজেটে করদাতাদের ওপর নতুন কোনো কর বসছে না। অনেকক্ষেত্রে কর কমানোও হতে পারে।
বাজেট প্রণয়নে যারা কাজ করছেন, তারা বলছেন, এ বাজেটের আকার হতে পারে ৪ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। তার মানে গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এ বছরেও বাজেটের আকার বাড়ছে। গত অর্থবছরের বাজেট ছিল ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার।
যদিও অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, এ বাজেটেও আয়-ব্যয়ের তফাতটা বড় রাখা হচ্ছে। এখানেই সরকারের জন্য বড় রকম চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। কারণ ব্যয় ঠিকই হবে কিন্তু আয় প্রত্যাশা মতো নাও হতে পারে। তাই এনবিআরের রাজস্ব অর্জনের জন্য যে লক্ষ্যমাত্রা থাকবে; তা অর্জিত হবে না বলছেন অর্থনীতিবিদরা।
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বাজেট দিয়েছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। সেই অর্থবছরের (১৯৭২-৭৩) আকার ছিল মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকা। ৪৭ বছর পর সেই দেশই আজ ৪ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিতে যাচ্ছে।
আমরা মনে করি, এটা বাংলাদেশের সমৃদ্ধি আর অগ্রযাত্রার প্রামাণ্য দলিল। এভাবেই এগিয়ে যাবে দেশ, এগিয়ে যাবে জাতি।