পানির উপর নয় বরং নিচেই হবে ঘরবাড়ি। বিশ্বে প্রথম সমুদ্রের পানির নিচে ভ্রমণপিয়াসুদের জন্য রিসোর্ট তৈরি করা হয়েছে মালদ্বীপের রাঙ্গালি দ্বীপে।
‘কনরার্ড মালদ্বীপ রাঙ্গলি দ্বীপ’ নামে পরিচিত বিলাসবহুল এই হোটেল রুমের চারপাশে থাকবে রূপকথার মতই সত্যিই বিভিন্ন জলজপ্রাণীর খেলা এবং মনোমুগ্ধকর কিছু দৃশ্য। যেখানে বসবাসে সামুদ্রিক প্রাণীর সাথে আপনার পার্থক্য থাকবে খুব সামান্য।
সমুদ্রের পানির উপরিভাগ থেকে ১৬.৪ মিটার গভীরতায় আপনি শুয়ে শুয়ে উপভোগ করতে পারবেন সাগরের অপরূপ সৌন্দর্য।
হোটেলের স্থপতি আহমেদ সেলিম বলেন, এটা সত্যি যে সমুদ্রপৃষ্টের নিচে থাকা অন্যান্য স্থপতির মধ্যে এটা অতুলনীয়। কারণ এর চারপাশে কাঁচের গ্লাসের টানেল দিয়ে ঢাকা। যেখানে গ্রীষ্মমন্ডলীয় মাছ ছাড়াও থাকবে অসাধারণ সামুদ্রিক দৃশ্য।
সমুদ্র প্রেমীদের জন্য সবচেয়ে আকর্ষনীয় বিষয় হলো সম্পূর্ন কাঁচ দিয়ে আবৃত দেখে আপনি জলজ প্রাণীদের গতিবিধিও দেখতে পারবেন খুব সহজেই। সাগরতলে গড়ে তোলা রিসোর্ট এ বছরই দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। এই পাঁচতারকা হোটেল তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ মিলিয়ন ডলার।
হোটেলটির সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে পানির নিচের বেড রুম সমূহ। এসব বেড রুম থেকে আপনি রাতের সমুদ্রের অসাধারণ দৃশ্য দেখতে পাবেন। একই সাথে চাঁদের আলো সমুদ্রের পানিতে প্রতিফলিত হয়ে কাঁচ দিয়ে প্রবেশ করবে আপনার বিছানায়। হোটেলের রুম ভাড়া নিলে সমুদ্রতীর থেকে তাদের বিশেষ নৌকায় করে নিয়ে যাওয়া হবে হোটেলে।
আর হোটেলের রেস্টুরেন্টে ঢোকার মূল দরজা পানির মধ্যে ভাসমান কাঠের একটি ব্রিজ পাড় হতে হবে। আর এ ব্রিজটি দড়ির সাহায্যে সমুদ্রের তলদেশে আটকানো থাকে বলে তা জোয়ার ভাটার সময় ভেসে যায় না। সমুদ্রের নিচে ১৮০ ডিগ্রি প্যানরোমিক ভিউতে বসে রেস্টুরেন্টের খাবারের তালিকা অনুযায়ী মালদ্বীপের গলদা চিংড়ি আর পশ্চিমা খাবারের স্বাদ গ্রহণ করতে পারেন।
এছাড়া এখানে ১৪ পদের খাবার একসাথে অর্ডার করা যায়। আর এই হোটেলে এক রাত থাকতে খরচ করতে হবে প্রায় ৫০ হাজার ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪০ লাখেরও বেশি পরবে।