দল ভালো করলে মেলে প্রশংসা। খারাপ করলে জোটে নিন্দা। ক্রিকেটে একজন অধিনায়ককে প্রস্তুত থাকতে হয় সবধরনের পরিস্থিতির জন্যই। বাংলাদেশের নতুন অধিনায়ক তামিম ইকবালও প্রস্তুত।
ব্যাট হাতে রান না পেলে কিংবা বেশি ডট বল খেললে তামিমকে ঘিরে ওঠে সমালোচনার ঝড়। টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগে এসব সমালোচনা নিয়ে তাই সতর্ক থাকছেন তিনি।
‘সত্যি কথা বলতে, যত সমালোচনা শুনেছি, মনে হয় না বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারই শুনেছে। ওইদিক থেকে আমি পুরোপুরি তৈরি। যেটা আমার সঙ্গে হয়, কিছু কারণে হয় আবার কিছু অকারণে হয়, ভিন্নভাবে চেষ্টা করছি। যখন অধিনায়কের দায়িত্বটি গ্রহণ করেছি, তখন এটার সঙ্গে অনেককিছু আসবে। এখানে ক্রিটিসিজম আসবে, রিয়েক্টও আসবে, আবার প্রশংসাও। আমার কাছে যেটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় নিজের দায়িত্বে ঠিক থাকা।’
বুধবার শুরু হচ্ছে তামিমের নতুন অভিযান। বাংলাদেশ অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্বের অধ্যায় শুরু করতে উদগ্রীব তিনি, ‘আমি আগামীকাল থেকে সামনে এগিয়ে যেতে মুখিয়ে আছি। কিন্তু আজ থেকে তিন-চার মাস পর বা একবছর পর কীভাবে রিয়েক্ট করি সেটাও দেখার বিষয়।’
‘সবসময় একটা কথা বলি, আমার জন্য এটি এমন বলেই উপভোগ করব না, এমন না। এমনও হতে পারে যে দল খুব ভালো খেললেও হয়তোবা আমি উপভোগ করতে পারছি না। তখন সিদ্ধান্তটা অন্যভাবে নিতে পারি। আমি তৈরি সমালোচনা, প্রশংসার জন্য। নতুন অভিযান শুরুর নিয়ে আমি রোমাঞ্চিত।’
প্রায় প্রতিটি সংবাদ সম্মেলনেই তামিমকে প্রশ্ন শুনতে হয় স্ট্রাইকরেট নিয়ে। উইন্ডিজ সিরিজ শুরুর আগের অনলাইন সংবাদ সম্মেলনেও উঠল সে প্রসঙ্গ। জবাবে তামিম বলেন পরিসংখ্যান ঘাঁটার কথা।
‘প্রত্যেক প্রেস কনফারেন্সে এই প্রসঙ্গে আমার কথা বলতে হয়। কী করি (বাংলাদেশের হয়ে) তা বলবো না। সবচেয়ে ভালো হবে যদি পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখেন। এই প্রশ্নের একই উত্তর দিতে খুব বেশি উপভোগ করি না। তাই এটার উত্তর অনেকবার দিয়েছি। যদি পরিসংখ্যান দেখেন, তাহলে আমার কী অবস্থা আছে এতদিন ধরে, কী করেছি, উত্তর পেয়ে যাবেন।’