নির্বাচনকে সামনে রেখে গঠিত নতুন রাজনৈতিক জোট ঐক্যফ্রন্ট সিলেটে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। সে সমাবেশের জন্য অনুমতি পাবে কি না সেই সংশয়ে ছিলেন জোটের নেতারা। তারা ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, অনুমতি না পেলেও জোটের শীর্ষ নেতারা সিলেট যাবেন।
সমাবেশের অনুমতি নিয়ে সংশয় নাকচ করে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ইতিবাচক কথা বলেছেন। অনুমতির ব্যাপারে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা ইঙ্গিত পেয়েছেন বলেও গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি । অফিশিয়াল চিঠি না পাওয়ার আগ পর্যন্ত ঐক্যফ্রন্ট নেতারা অহেতুক নাটক করবেন বলেও অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আমরা জানি, যেকোন সমাবেশের অনুমতি দেয়ার আগে পুলিশ কয়েকটি বিষয় খতিয়ে দেখে। সমাবেশের আয়োজক কারা, কোন পর্যায়ের নেতারা সেখানে অংশ নিবেন, কত সংখ্যক লোকের সমাগম হতে পারে, তাদের নিরাপত্তা দেবার মতো যথেষ্ট লোকবল পুলিশের আছে কি না ইত্যাদি বিষয়গুলো আইনশৃংখলা বাহিনী খতিয়ে দেখে। সিলেটে বিভিন্ন দলের সিনিয়র অনেক নেতা যাবেন। সবকিছু বিবেচনা করে পুলিশ ইতোমধ্যে তাদেরকে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে।
ওবায়দুল কাদেরের মাধ্যমে আমরা আরো জানতে পেরেছি যে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন, দেশের সব দলের সভা-সমাবেশের অধিকার আছে। যেকোন দল যেখানেই সভা- সমাবেশ করতে চান, সে ব্যাপারে কোনো বাধা–নিষেধ থাকবে না।
আমরা বিশ্বাস করতে চাই, কোন বিধি-নিষেধ থাকা উচিতও নয়। সেখানেই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য্য। একটি দল বা একটি জোট হয়তো দেশ পরিচালনা করে। কিন্তু সরকারি দল বা জোটের ভাল-মন্দ দেখিয়ে দিয়ে দেশকে ঠিক পথে চালাতে সবচেয়ে জরুরি শক্তিশালী বিরোধী দল। গণতান্ত্রিক চর্চায় সব ধরণের মতকে গুরুত্ব দিতে হবে। পক্ষে-বিপক্ষে সব ধরণের বক্তব্যকে গুরুত্ব দিয়ে সরকারের পথনির্দেশনা তৈরি করতে হবে। তাহলেই কেবল গণতন্ত্র জনগণের জন্য সুফল বয়ে আনতে পারবে। পরমতকে উপেক্ষা করে কখনোই জনতার মঙ্গল সাধন সম্ভব নয়।