খেলতে চান ২০২৩ বিশ্বকাপে। খেলতে পারলে সেটা হবে মুশফিকুর রহিমের পঞ্চম বিশ্বকাপ। কিন্তু চাইলেই তো হবে না, বয়সের সঙ্গে ধরে রাখতে হবে ফিটনেস-ফর্মটাও। বিশ্বমঞ্চের জন্য নিজেকে ফিট রাখতে বদ্ধপরিকর টাইগার উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। সেজন্য এখন থেকে যাচাই-বাছাই করে খেলবেন প্রতিটি সিরিজ।
‘অবশ্যই, ২০২৩ বিশ্বকাপ খেলতে চাই। তবে এবার সময় এসেছে প্রতি সিরিজের আগে খেলব, নাকি খেলব না, তা যাচাই করার। এইভাবে ভাবলে মনে হয় ফর্ম ধরে রাখতে পারব। একসঙ্গে বেশিদূরের কথা ভাবলে একটানা ফর্ম ধরে রাখা কঠিন।’ ৩২ বছর বয়সী মুশি ভাবছেন এভাবেই।
শেষ কয়েকবছরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধাপে ধাপে অনেকটা দূর পর্যন্ত এসেছে বাংলাদেশ। সেই দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মুশফিক। তামিম ইকবাল আর সাকিব আল হাসানের পাশাপাশি ব্যাটিংয়ের অন্যতম স্তম্ভ তিনি। ২০১৫ থেকে তার ব্যাটিং গড় ৪৭.২১।
২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপটা মনমতো হয়নি। দশ দলের মধ্যে হয়েছে অষ্টম। তবে সাউথ আফ্রিকা আর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মতো দলকে হারিয়েছে টাইগাররা। বাংলাদেশকে হারাতে ঘাম ঝরাতে হয়েছে বিশ্বকাপের রানার্সআপ নিউজিল্যান্ড আর পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা ভারতকে।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রধান তারকা ছিলেন সাকিব। বিশ্বকাপ ইতিহাসে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ৬০৬ রান আর সঙ্গে ১১ উইকেট নেয়ার কীর্তি কেবল সাকিবেরই। মুশফিকও যে খুব একটা পিছিয়ে ছিলেন এমনও নয়। ৮ ইনিংসে ৩৬৭ রান করেছেন। বিশ্বমঞ্চে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে মোটামুটি খুশিই তিনি।
‘এই বিশ্বকাপে চার নম্বর ব্যাটসম্যানদের মধ্যে রস টেলর ছাড়া মনে হয় না আমার থেকে ভালো আর কেউ ব্যাট করেছে। সব থেকে বড় কথা, আমার ব্যাটিং দলকে জিততে সাহায্য করেছে। তাই আমি খুশি। এরকম খেললে আরও ভালো করার জন্য, আরও বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার জন্য বাড়তি আত্মবিশ্বাস পাই।’
‘বয়স বাড়ছে, তাই দলকে আরও বেশি বেশি করে জেতাতে চাই। সত্যি কথা বলতে কি, আমার দিন ফুরিয়ে এসেছে, তাই হাতে সময় নেই বেশি। দশ-পনেরো বছর ধরে খেলছি। এবার আরও উন্নতির পালা। পঞ্চাশ-ষাট নিয়ে সন্তুষ্ট না হয়ে ম্যাচ জিতিয়ে ফিরতে চাই। সেটা যে পারব, তা আমি এই বিশ্বকাপে কঠিন পরিবেশে কঠিন প্রতিপক্ষের মোকাবেলা করে বুঝেছি।’
মুশফিক আর তামিমের মধ্যে কে বড় ক্রিকেটার তা নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটমহলে আলোচনার শেষ নেই! মুশফিকের মতে এই সুস্থ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আখেরে লাভ দলেরই।
‘আমরা অবশ্যই চাই একে অন্যের থেকে বেশি রান করতে। ধরুন তামিম কিছু রান করল, তারপর আমি আরও বেশি রান করলাম, এতে লাভ তো দলেরই হচ্ছে। তাই না? সেটা নিয়মিতভাবে পারলে তো আমি একা হাতে দলকে ম্যাচ জেতাতে পারব। বিশ্বকাপের ফর্ম সাকিব ধরে রাখতে পারলে ওর যেমন ভালো হবে, তেমন দলেরও। একই কথা সৌম্য সরকার আর লিটন দাসের মতো নতুনদের ক্ষেত্রেও খাটে।’