চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

সব সম্ভাবনা মাথায় রেখে বিস্তৃত গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক

জঙ্গি দমনে সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার ইকবাল বাহার। এ সময় তিনি হত্যাকাণ্ডের সাথে জেএমবি জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।

সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার বলেছেন, ‘বাবুল আক্তার জঙ্গি দমনে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছিলেন, এতে সংশ্লিষ্টরা ক্ষুব্ধ হয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা করছি আমরা।  তদন্তের পরে প্রকৃত খুনি, কারণ ইত্যাদি বেরিয়ে আসবে।’

হত্যাকাণ্ডের ধরন ও পূর্বের জঙ্গিদের হত্যাকাণ্ডগুলোর সঙ্গে এটির হুবহু মিল রয়েছে বিষয়টি মাথায় রেখে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ।

জঙ্গি দমনে আলোচনায় থাকা বাবুল আক্তার আলোচনায় আসেন গত বছর নগরীর কর্ণফুলী থানার খোঁয়জনগর এলাকার একটি ভবনের নিচ তলায় জেএমবি আস্তানায় অভিযান চালাতে গিয়ে। যেখানে তিনি গ্রেনেড হামলা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পান। সেখানে তাকে লক্ষ্য করে গ্রেনেডও ছুড়ে মেরেছিল নিহত জঙ্গি নেতা জাবেদ। ভাগ্যক্রমে বাবুল বেঁচে গেলেও জঙ্গিদের টার্গেটে পরিণত হন তিনি।

এছাড়া গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর হাটহাজারীর আমান বাজারের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে জেএমবি নেতা ফারদিনের বাসা থেকেও বিপুল বিস্ফোরক ও অত্যাধুনিক স্নাইফার রাইফেল উদ্ধার করে আলোচনায় ছিলেন তিনি।

জঙ্গিবাদ ও অপরাধ দমনে সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে বাবুল আক্তার পেয়েছেন রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক পিপিএম (সেবা) (২০০৮), ২০০৯ পিপিএম (সাহসিকতা), ২০১০ সালে আইজিপি ব্যাজ, ২০১১ সালে পুলিশের সর্বোচ্চ মর্যাদাশীল পুরস্কার বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (সাহসিকতা)। বেসরকারি পর্যায়ে ২০১২ সালে সিঙ্গার-চ্যানেল আই (সাহসিকতা) পুরস্কার লাভ করেছেন বাবুল আক্তার। এর মধ্যে চারবার অর্জন করেছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের সেরা সহকারী পুলিশ সুপারের মর্যাদা।

সদ্য পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতিও পেয়েছেন এসপি বাবুল আক্তার।

এসপি বাবুল আক্তার গত বৃহস্পতিবার সিএমপি ছেড়ে পুলিশ সদর দপ্তরে যোগদানের জন্য বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন।