হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু বিষয়ক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রোববার ভোরে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে রোববার সকাল পৌনে আটটার দিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কার্ডিয়াক বিভাগে ভর্তি করা হয়। পরে বিএসএমএমইউ’র থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওবায়দুল কাদেরকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়েছে। আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে তার সুস্থতা কামনা করছি।
ওবায়দুল কাদের অসুস্থতার পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন পেজ ও একাউন্ট থেকে ট্রল করা হচ্ছে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক নানা নেতিবাচক বক্তব্য দেয়া হচ্ছে। বিষয়টি খুবই দু:খজনক এবং নেতিবাচক। অসুস্থতা যেকোন মানুষের ও তার আশেপাশের মানুষের জন্য একটি কষ্টকর পর্যায়। ইসলাম ধর্মসহ বিভিন্ন ধর্মে অসুস্থতা কালীন অসুস্থ ব্যক্তির প্রতি করণীয় বিভিন্ন মানবিক নির্দেশনা রয়েছে, রয়েছে মানবিক নির্দেশনা পালনে ফজিলতের বিষয়টিও। কিন্তু শুধুমাত্র ভিন্নমত/রাজনৈতিক মতপার্থক্য এবং বিরোধীতার জন্য বিরোধীতা করার ঘৃণিত মানসিকতায় সমালোচনা/ট্রলে মেতে উঠছে অনেকে। এটা শুধু ওবায়দুল কাদেরের অসুস্থতায়ই নয়, এরআগেও অনেক রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্টজনের অসুস্থতা বা মৃত্যুর সময় দেখা গেছে।
সকল মানুষ আসলে এক জাতি। আর মানুষ আর পশুর মধ্যে পার্থক্য করা যায় তার আচার-আচরণ ও কখন কী করতে হবে, তার মাধ্যমে। বিদ্যা-বুদ্ধি আর ধর্মীয় অনুশাসন সবসময়ই আমাদের জ্ঞান, নৈতিকতা ও মানবিক গুণাবলী অর্জনের পথ দেখায়। এসব চর্চায় মোটেও পিছিয়ে নেই দেশের মানুষ, তারপরেও কিছু মানুষরূপী কীট সামাজিক মাধ্যমে ঘৃণা আর বিদ্বেষের বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে ও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছে। বিষয়গুলো আমাদের ভাবাচ্ছে। যারা এসব করছে তাদের বিষয়টি মনে করিয়ে দেওয়া বা শুধরে দেয়া তাদের বন্ধু-পরিচিত জনদের কর্তব্য বলে আমরা মনে করি। আমাদের প্রত্যাশা, পরিস্থিতি যাইহোক না কেন সামাজিক মাধ্যমসহ সর্বক্ষেত্রে প্রকৃত মানুষের প্রতিক্রিয়া হওয়া উচিত মানবিক ও সংযত।