‘আমি একটু বেশি হাসিখুশি। আড্ডা মারি, দুষ্টুমি করি। প্রত্যেকের শুটিং সেটে গিয়ে সবার সঙ্গে অল্পতে ফ্রি হয়ে যাই। মিশে যেতে পারি বলে নতুন নতুন ইউনিটের সঙ্গে কাজ করতে কোনো অসুবিধা হয় না। আগের সিনেমাগুলোতে আমার চরিত্রও চঞ্চল প্রকৃতির। কিন্তু ‘হৃদিতা’তে আমি পুরোপুরি শান্ত মেয়ে।’
ইস্পাহানী আরিফ জাহানের পরিচালনায় সরকারি অনুদানে নির্মিতব্য ‘হৃদিতা’ সিনেমা প্রসঙ্গে এভাবেই জানাচ্ছিলেন পূজা চেরী।
২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৫৫ লাখ অনুদান পাওয়া সিনেমাটির নাম ভূমিকা ‘হৃদিতা’ চরিত্রে অভিনেত্রী করছেন পূজা। শুটিং শেষের দিকে আসায় সম্প্রতি ডাবিংয়ে অংশ নিয়েছেন ‘নূর জাহান’, ‘পোড়ামন ২’ ও ‘দহন’ সিনেমাগুলো দিয়ে আলোচনায় আসা পূজা।
এ সিনেমায় তার বিপরীতে অভিনয় করছেন এবিএম সুমন। আরও আছেন মানস বন্দ্যোপাধ্যায়, আঞ্জুমান আরা বকুল প্রমুখ।
এই ছবিতে শান্ত মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন জানিয়ে পূজা বলেন, বাস্তব জীবনে আমি একটু চঞ্চল প্রকৃতির হলেও ‘হৃদিতা’ ধীরে ধীরে কথা বলে, হিরোর ব্যাপারে দুষ্টু থাকলেও প্রকাশ করি না। এই চরিত্র করে বুঝতে পারছি যে, আমি সবধরনের চরিত্র করতে পারবো। ‘হৃদিতা’র শুটিং প্রায় শেষের দিকে। পোস্টের কাজ ছাড়া ডাবিংয়ে যতটুকু দেখেছি দারুণ হয়েছে।
মসলাদার বাণিজ্যিক সিনেমা নির্মাণে হাকডাক আছে যুগল নির্মাতা ইস্পাহানী আরিফ জাহানের। রাজ্জাক, শাবানা, আলমগীর, ইলিয়াস কাঞ্চন, মৌসুমি, ওমর সানী, মান্না, শাকিব খান, পপি, অপু বিশ্বাসদের মতো তারকাদের নিয়ে দেড় ডজনের মতো সিনেমা নির্মাণ করেছেন এই নির্মাতাদ্বয়। এই প্রথম ইস্পাহানী আরিফ জাহান বানাচ্ছেন সাহিত্য নির্ভর সিনেমা ‘হৃদিতা’। যেটি কথা সাহিত্যিক আনিসুল হকের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে।
চ্যানেল আই অনলাইনকে পূজা বলেন, আমি এখনকার পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করে অভ্যস্ত। যেভাবে অভিনয় করি পরিচালক সেভাবে পছন্দ করবেন কিনা ডাউট ছিল কিংবা উনি যেভাবে চান আমি সেভাবে অভিনয় করতে পারবো কিনা সেটিও ভাবাচ্ছিল! কিন্তু তারা আমাকে যেভাবে সাপোর্ট দিয়েছেন, তা আমার প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি। চমৎকার বোঝাপড়া হয়েছে। ‘হৃদিতা’ নির্মাণে আধুনিকতার ছাপ থাকছে। তারা যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করেছেন।
ইস্পাহানী আরিফ জাহান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, হিরো সুমন চরিত্রটা উপযুক্তভাবে হাজির করেছে এবং হৃদিতা ওরফে পূজা চেরীর ইনভলবমেন্ট অনেক বেশি ছিল। অল্প কাজ এবং একটি গান বাকি আছে। ঈদুল আযহার পরে সুনামগঞ্জের তাহেরপুরে গানটির শুটিং হবে। এর মধ্যে ডাবিংয়ের কাজ শেষ করছি। অনুদান ৫৫ লাখ পেলেও এর বেশি ব্যয় হচ্ছে।
যোগ করে এই নির্মাতা বলেন, আগে আমরা যখন নিয়মিত সিনেমা বানাতাম নান্দনিকতার চেয়ে বাণিজ্যিক বিষয়টি প্রাধান্য দিতাম। এখন সাধারণ সিনেমা হলে সেভাবে বাণিজ্য নেই। এজন্য চিন্তা করেছি বাণিজ্য না থাকলেও সরকার যেহেতু অর্থায়ন দিয়েছেন দর্শক প্রশংসা করবে এমন সিনেমা নির্মাণ করা উচিত। যে সিনেমা মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে ভালো চলবে। পাশাপাশি দেশের বাইরেও চালাতে পারবো। তাই মান ভালো করার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, বিখ্যাত লেখক আনিসুল হকের উপন্যাস থেকে ‘হৃদিতা’ সিনেমা বানাই। ইচ্ছে আছে, পোস্ট প্রডাকশনের বেশিরভাগ কাজগুলো ইন্ডিয়া থেকে করবো। যেন কোনো ত্রুটি না থাকে।