করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আসর মানেই খেলোয়াড়দের সুরক্ষা বলয়ে থাকা। দেশ এবং দেশের বাইরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকেও থাকতে হচ্ছে বায়ো বাবল বা জৈব সুরক্ষা বলয়ে। কষ্টকর হলেও সেটা সবাইকে মেনে নিতে হচ্ছে কঠিন বাস্তবতার কারণে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ সামনে রেখে বাংলাদেশ দল ফের সুরক্ষা বলয়ে প্রবেশ করেছে। মোস্তাফিজুর রহমান ও সাকিব আল হাসানের জন্য এভাবে থাকা বেশি কঠিন। কেননা তারা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) শুরুর আগে থেকেই বায়ো বাবলে ছিলেন।
দেশে ফিরে ১২ দিন হোটেলে কোয়ারেন্টাইন করার পর সাকিব-ফিজকে ফের সেই হোটেলেই কাটাতে হবে সিরিজ শেষ না হওয়া অবধি। অনুশীলন আর ম্যাচের সময়ে থাকবেন মাঠে। বাকি সময় কাটাতে হবে হোটেলে। থাকবে না মুক্ত বাতাসে শ্বাস নেয়ার স্বাধীনতা।
বুধবার মিরপুরে দলের সঙ্গে প্রথমবার অনুশীলন শেষে মোস্তাফিজ সে প্রসঙ্গে বললেন, ‘শেষ দুই বছর শুধু আমার জন্য না, সবার জন্যই খুব কষ্টকর এই বায়ো বাবল।’
রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন মোস্তাফিজ। ধারাবাহিকতা দেশের হয়ে ওয়ানডে সিরিজে দেখা যাবে কিনা জিজ্ঞাসা সবার। আত্মবিশ্বাসী উত্তর দিতে পারেননি ফিজ। ভারত ও বাংলাদেশ মিলে টানা তিন সপ্তাহ কেটেছে হোটেলে। বুধবারই প্রথমবার হাতে নিয়েছেন বল।
তাতে ছন্দ হারিয়ে ফেলা স্বাভাবিকই! নিজের পারফরম্যান্স কেমন হবে, সেটি তাই ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিচ্ছেন কাটার মাস্টার, ‘আইপিএলে থাকাকালীন আইপিএল আর আমাদের দেশে রুম কোয়ারেন্টাইন দিয়ে প্রায় ২৫ দিনে একটা অনুশীলন সেশন, আর একটা ম্যাচ খেলছি। এখন জানি না, আমি আর সাকিব ভাই দুজনেই ওরকম ছিলাম। তিন দিনে কালকে তো অনুশীলন (বৃষ্টির কারণে) করতে পারি নাই, আজকে করলাম। আরও দুই দিন সময় পাবো। আল্লাহর উপরে ছেড়ে দিলাম। দেখি চেষ্টা করে কী হয়।’
‘এদিকে ১৪, ওদিকে ৫। টানা ১৯ দিন যদি কিছু না করি, রুমের ভেতর থাকি। টুকটাক যেগুলো করা যায়, ওগুলো করে যদি প্রথমদিনেই কিছু ভাবি, তাহলে তো হওয়ার কথা না। চেষ্টা করছি, আজকে প্রথম সুযোগ পেলাম।’