করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমাতে দেশে চলমান ছুটির কারণে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রায় বন্ধ বললেই চলে। জরুরি কিছু পরিষেবা চালুর মাধ্যমে জনগণের খাদ্য-চিকিৎসার কিছুটা ধরে রাখা হয়েছে। কবে এই করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হবে, তা কেউ জানে না।
দেশের ব্যবসায়ী মহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ তাদের ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলছেন। দাবি জানাতে শুরু করেছে, করোনার এই সঙ্কটের মধ্যেও সীমিত আকারে ব্যবসা ও যাতায়াত সুবিধা চালু করতে দেবার জন্য। সীমিত আকারে গার্মেন্টসও খুলেছে কিছু এলাকায়।
পবিত্র রমজান শুরু হয়েছে, সামনে ঈদুল ফিতর। সাধারণ জীবন যাপনের পাশাপাশি উৎসবের কারণে দেশের অর্থনীতিতে একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। করোনার কারণে তা ব্যাহত হয়েছে। জরুরি সহায়তা হিসেবে খাদ্যের বাইরেও বাসস্থান ভাড়া, পানি-গ্যাস-বিদ্যুত বিল, শিক্ষা খরচ ও চিকিৎসার জন্য নগদ অর্থের প্রয়োজন জনসাধারণের, যা কোনোভাবেই অনেকে সংগ্রহ করতে পারছে না। এই বিষয়টি সামনের দিনগুলিতে বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দেবে বললে ভুল হবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (২৭ এপ্রিল) বলেছেন, “যেখানে ভাইরাসের সংক্রমণ কম সেখানে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হবে। ধীরে ধীরে অনেক কিছুই খুলে দেওয়া হবে। ব্যবসা বাণিজ্যও চালু করা হবে। কৃষিকাজ তো এরই মধ্যে অনেকে করছেন। আমাদের সংগঠনগুলোও সেই কাজে সাহায্য করছে।” তারমানে সরকার বিষয়গুলো নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত ও সচেতন।
যে দাবিই উঠুক আর যে পদক্ষেপই নেয়া হোক না কেন, সবার আগে মাথায় রাখতে হবে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। যে করোনার কারণে জরুরি ছুটি বা লকডাউন, তা পুরোপুরি না নিয়ন্ত্রণে আসলে পরিস্থিতি খুব ভয়াবহ হতে পারে। পর্যায়ক্রমে কীভাবে কোন বিষয়ে শিথিল হতে হবে, তা নিয়ে সম্মিলিত সিদ্ধান্ত জরুরি। তাহলেই জনগণের জীবনের পাশাপাশি ধীরে ধীরে দেশের অর্থনীতি কিছুটা প্রাণ ফিরে পাবে বলে আমাদের আশাবাদ।