শত কোটি মানুষের দেশ ভারতে হরেক রকমের ভাষা। দেশটির জাতীয় ভাষা হিন্দি হলেও বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ নিজ নিজ আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। বহু সংস্কৃতির সেই ভারতেই ‘সবাইকে হিন্দি জানতে হবে’ বলে বিতর্কের মুখে পড়েছেন এক ধারাভাষ্যকার!
বৃহস্পতিবার কর্ণাটক আর বরদার মধ্যকার রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন দুজন। এমন সময় মাইক্রোফোন হাতে এক ধারাভাষ্যকার সুনীল গাভাস্কারের হিন্দি ধারাভাষ্যের প্রশংসা করে বলেন, ‘আজকাল সুনীল গাভাস্কার হিন্দিতে ধারাভাষ্য দিচ্ছেন দেখে আমার বেশ ভালোই লাগে। হিন্দিতে কথা বলার কারণে তিনি দারুণ সব মতামত দিতে পারেন। এমনকি যখন তিনি ডট বলকে বিন্দী বল বলেন তখনও আমার বেশ ভালো লাগে।’
সতীর্থ ধারাভাষ্যকার এমন কথা বলার পর সুশীল দোশি নামের এক ধারাভাষ্যকার বলে বসেন, ‘সব ভারতীয়কে হিন্দি জানতে হবে। এটা আমাদের মাতৃভাষা। এরচেয়ে আর কোনো বড় ভাষা নেই।’
‘আমার খুব রাগ লাগে যখন দেখি কোনো ক্রিকেটার বলে, আমরা তো ক্রিকেটার। আমাদেরও হিন্দি বলা লাগবে? আপনি যখন ভারতে থাকবেন তখন আপনাকে অবশ্যই হিন্দি বলা লাগবে।’
সুশীল দোশির এই কথা মুহূর্তেই উত্তাপ ছড়িয়েছে ভারতের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অনেক সমর্থকই অবিলম্বে বহিষ্কার দাবী করেছেন দোশির। এক সমর্থক টুইটারে লিখেছেন, ‘আমি আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে শুনলাম যে ধারাভাষ্যকাররা নাকি জোর করে হিন্দি চাপিয়ে দিতে চাইছেন? বলেছেন সবাইকে হিন্দি শিখতে হবে। যদি বিষয়টা সত্যি হয় তাহলে বলবো অবিলম্বে বিসিসিআই তাদের বহিষ্কার করুক। এটা অগ্রহণযোগ্য।’
আরেক ভক্ত টুইটারে কর্ণাটক বনাম বরদার ম্যাচের ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, ‘দেখুন কী হচ্ছে! ধারাভাষ্যকাররা যখন হিন্দি শেখার জন্য চাপাচাপি করছেন ক্রিকেটাররা তখন কানাদা এবং গুজরাটি ভাষায় কথা বলায় ব্যস্ত!’