বিপিএল দিয়ে পাদপ্রদীপের আলোয় আসা আবু হায়দার রনি নিজেকে হারিয়ে খুঁজছিলেন। আবারো পথের দিশা পেলেন এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। চলতি আসরে বল হাতে নিজেকে মেলে ধরেছেন এই বাঁহাতি পেসার। আগের ম্যাচে তিন উইকেট নিয়ে আরাফাত সানিকে টপকেছেন। শুক্রবার আবাহনীর বিপক্ষে দুই উইকেট নিয়ে আসরের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির জায়গাটা সুসংহত করেছেন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের তারকা।
এখন পর্যন্ত ১৫ ম্যাচে রনির উইকেট ৩৫টি। পেছনে চলে যাওয়া সানির উইকেট ৩২, এক ম্যাচ কম খেলেছেন প্রাইম দোলেশ্বরের এই বাঁহাতি স্পিনার। আব্দুর রাজ্জাক, তাইজুল ইসলামও দৌঁড়ে ছিলেন। তখন ভাবাই যায়নি কোন পেসার এভাবে আড়াল ঠেলে দেবেন সবাইকে। দুই ম্যাচ আগে শেখ জামালের বিপক্ষে ৬ উইকেট নিয়ে সানির কাছাকাছি আসেন রনি। পরের দুই ম্যাচে ৩ ও ২ উইকেট নিয়ে শীর্ষে পা রেখেছেন।
শুক্রবার বিকেএসপিতে সুপার লিগের চতুর্থ রাউন্ডে প্রথম ওভারেই উইকেট নিয়েছেন রনি। তৃতীয় বলে আবাহনীর ওপেনার সাইফ হাসানকে (০) এলবিডব্লিউ করেন এই বাঁহাতি। পরে টপঅর্ডারের আরেক ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্তকে ফেরান তিনি।
রনির বোলিংয়ে চাপে পড়া আবাহনী আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। প্রিমিয়ার লিগের শেষ রাউন্ডের আগে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ১৫৬ রানে অলআউট হয় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। সর্বোচ্চ ৩২ রান করেছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। নাসির হোসেন ও মেহেদী হাসান ৩টি করে উইকেট নিলে ৪১.২ ওভারেই শেষ হয়ে যায় আবাহনীর ইনিংস।
২০১৫ সালে বিপিএলের তৃতীয় আসরে উইকেটের পর উইকেট নিয়ে আলোচনায় আসেন আবু হায়দার রনি। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে ওই আসরে ২১ উইকেট নিয়েছিলেন। পরে এসেছিলেন জাতীয় দলেও। পাঁচটি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলে ছিটকে পড়েছেন। এবারের লিগে দুর্দান্ত বোলিং করে লাল-সবুজের জার্সিতে ফেরার দাবিটা আবারো জানিয়ে রাখলেন!