চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

সবধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরে ‘রহস্য স্পিনার’

মিস্ট্রি স্পিনার বলা হত তাকে। আবির্ভাবের সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানদের ত্রাস হয়ে উঠেছিলেন। সেই রহস্য বোলার অজন্তা মেন্ডিস অবসর নিয়ে ফেললেন সবধরনের ক্রিকেট থেকে।

শ্রীলঙ্কান বিবিসির খবর, ৩৪ বছর বয়সেই ব্যাট-প্যাড গুটিয়ে রাখলেন মেন্ডিস। জাতীয় দলের জার্সিতে খেলেননি বহুদিন। শেষবার লঙ্কান জার্সিতে খেলেছিলেন ২০১৫ সালে। দেশটির ক্রিকেটে এখন পালাবদলের হাওয়া। নতুন করে আর সুযোগ পাওয়ারও সম্ভাবনা নেই। তাই অবস্থা বুঝেই সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

জাতীয় দলের জার্সিতে মেন্ডিসের সেরা পারফরম্যান্স ২০০৮ সালে এশিয়া কাপের ফাইনালে। ১৩ রান খরচ করে তুলে নিয়েছিলেন ভারতের হাফডজন উইকেট। টেস্ট অভিষেকও হয়েছিল সেই ভারতের বিপক্ষেই। তিন টেস্টে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের নাকানিচোবানি খাইয়েছিলেন। ওই সিরিজে তার দখলে ছিল ২৩ উইকেট।

মেন্ডিসের একদশক আগের সেই পারফরম্য়ান্সে এতটাই প্রভাবিত হয়েছিলেন প্রখ্যাত ক্রিকেট লিখিয়ে রব স্টিন যে নিজের কলামে লিখেছিলেন, ‘স্পিন বোলিংয়ের ভবিষ্যত আমরা পেয়ে গিয়েছি। তার নাম অজন্তা মেন্ডিস।’

নিজের সেরা সময়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্রুততম ৫০ উইকেট নিয়েছিলেন। পাশাপাশি টি-টুয়েন্টিতে তার রেকর্ড আজও অক্ষত। টি-টুয়েন্টির একমাত্র বোলার হিসেবে দু-বার একই ইনিংসে ছয় উইকেট নেয়ার বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেছেন।

তবে আবির্ভাবের সময়ে যতটা সাড়া ফেলেছিলেন, সেই ফর্ম ধরে রাখতে পারেননি পরবর্তীকালে। ২০০৯ এবং ২০১২ সালে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটের বোলিংয়ে নিয়মিত মুখ ছিলেন। তারপর থেকেই পারফরম্যান্সের গ্রাফ ক্রমশ নামতে থাকে তার।

মেন্ডিস ১৯টি টেস্টসহ ৮৭টি একদিনের ম্যাচ এবং ৩৯টি-টুয়েন্টি খেলেছেন। সেখানে উইকেটসংখ্যা যথাক্রমে ৭০, ১৫২ এবং ৬৬। চলতি বছরে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলছিলেন। প্রিমিয়ার লিগের টায়ার-বিতে পুলিশ স্পোর্টস ক্লাবের ক্যাপ্টেন ছিলেন। তবে অবাক করার হলেও দলের বোলার হিসেবে নয়, ব্যাটসম্যান কোটায় খেলছিলেন মেন্ডিস।