গ্রিসে ভয়াবহ দাবানলে কমপক্ষে ৭৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৮৭ জন। অন্যদিকে লাওসে আট্টাপু প্রদেশে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাঁধ ভেঙে ছয়টি গ্রামে আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। এছাড়া জাপানে দু’সপ্তাহের তাপদাহে কমপক্ষে ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কয়েক দশকের মধ্যে গ্রিসজুড়ে ছড়িয়ে পড়া সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর বাসিন্দারা আগুনর থেকে বাঁচতে সমুদ্রে আশ্রয় নিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইউরোপীয় দেশগুলোর কাছে সহযোগিতা চেয়েছে গ্রিস সরকার। অনুরোধে সাড়া দিয়ে অতিরিক্ত বিমান, যানবাহন ও দমকলকর্মী পাঠিয়েছে ইটালি, জার্মানি, পোল্যান্ড এবং ফ্রান্স।
গ্রিসে আগুন লাগলেও এশিয়ার দেশ লাওসে মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে বন্যায়। সোমবার মাঝরাতে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাঁধ ভেঙে আকস্মিক বন্যায় ছয়টি গ্রাম প্লাবিত হয়। এ সময় অনেকে নিহত হওয়ার পাশাপাশি নিখোঁজও আছে শতাধিক। বন্যায় ঘরবাড়ি হারিয়েছে সাড়ে ৬ হাজার মানুষ।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সরকারসহ অন্যদের কাছে জরুরি সাহায্য চেয়ে আবেদন করে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী থংলুন সিসলথ সব সরকারি আলোচনা বাতিল করে কর্মকর্তাদের নিয়ে বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিদর্শন করছেন।
বন্যা ও আগুনে না পুড়লেও তাপমাত্র সংকটে আছে এশিয়ার আরেক দেশ জাপান। অব্যাহত তাপদাহে গত সপ্তাহে ৬৫ জন নিহত হয়েছেন। দেশটিতে চলমান তাপপ্রবাহে ২২ হাজারের বেশি মানুষ হিট স্ট্রোকের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
সোমবার কুমাগায়া শহরে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা ধারণ করা হয়। এ ছাড়া টোকিওতে প্রথমবারের মতো ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ধারণ করা হয়।