প্রধানমন্ত্রীর সামনে দুটি পথ খোলা রয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, একটি হচ্ছে সন্মানজনক বিদায়, আরেকটি হচ্ছে একেবারে অসন্মানজন, অপমানিত বিদায়।
“প্রধানমন্ত্রীকেই পছন্দ করতে হবে কোন মাধ্যমে তিনি ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে চান। সন্মান নিয়ে বিদায় নিতে হলে প্রধানমন্ত্রীকে সমঝোতায় আসতে হবে। অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। আর যদি সমঝোতায় না আসেন তাহলে যার কপালে যা আছে হবে, আমাদের কিছু করার নেই।”
সোমবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয়তাবাদী যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল আলম মজনুর মুক্তির দাবিতে এই সভার আয়োজন করে বৃহত্তর নোয়াখালীে জেলা জাতীয়তাবাদী যুব ফোরাম।
সরকার যদি সমঝোতায় না আসে তাহলে রাজপথের কর্মসূচির ইঙ্গিত দিয়ে মওদুদ বলেন, সরকার যদি সমঝোতায় না আসে তাহলে রাজপথের আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া হবে। এর কোন বিকল্প নাই। আমরা জানি কিভাবে আন্দোলন করে দাবি আদায় করতে হয়। প্রত্যাশা করি সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর শুভবুদ্ধির উদয় হবে।
বিএনপির এই নীতি নির্ধারক বলেন, অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছি। গত দুই বছর কোন কর্মসূচি দেই নাই। তারপরও সরকার পরিবর্তনের জনগণের মাঝে বিরাট আগ্রহ দেখতে পাচ্ছি। পরিবর্তন হবেই। জেল জুলুম অত্যাচার নির্যাতন দিয়ে বিএনপিকে দাবিয়ে রাখা যাবে না।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চলমান জিয়া চ্যারিটেবল ও জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট মামলার কোন আইনগত ভিত্তি নেই বলেও মন্তব্য করেন মওদুদ আহমদ।
প্রতিবাদ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, শাহজাদা মিয়া, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।