সন্ধ্যা ৬টা ৩৬ মিনিটে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু ভূ-কম্পন অনুভূত হয়েছে। উৎপত্তিস্থল নেপালের হিতুরা। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ২।
মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা’র তথ্য অনুযায়ী (ইউএসজিএস)বাংলাদেশ সময় ৬টা ৪২ মিনিটে আরেকবার ভূ-কম্পন হয়েছে। রিখটার স্কেলে ৫.১ মাত্রার ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল ভারতের মিরিক শহরের ৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। ভারতের এই শহরটি নেপাল সীমান্তের ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে।
শনিবার নেপালে ৭ দশমিক ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হানার পর থেকে দফায়-দফায় ‘আফটার শক’ বা ভূমিকম্প পরবর্তী ভূ-কম্পন অনুভূত হচ্ছে। শনিবারের সর্বোচ্চ মাত্রার ভূমিকম্পের পর রোববার রিখটার স্কেলে সবচেয়ে বেশি মাত্রার ভূকম্পনটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭। রোববার বেলা ১ টা ৯ মিনিটে শুরু হয়ে এই ভূকম্পন কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়। এ ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল নেপালের কোদারি এলাকার ১৭ কিলোমিটার দক্ষিণে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ৬ দশমিক ৭ বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)।
মার্কিন ভূ-তত্ত্ববিদরা জানিয়েছেন, ভারতীয় উপমহাদেশের কয়েকটি দেশ ভূ-গর্ভে যে বিশালাকৃতির প্লেটের উপর অবস্থান করছে সেটির নাম ইন্ডিয়ান প্লেট। এর ঠিক উত্তর পাশে রয়েছে ইউরেশিয়া প্লেট। ইন্ডিয়ান প্লেটটি প্রতি বছর ৪০-৫০ মিলিমিটার উত্তরে সরে যাচ্ছে। পাশাপাশি দুটি প্লেটের ধাক্কায় এই অঞ্চলে বড় বড় ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে।