ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে একটি আর্টসেন্টার, রেস্টুরেন্টসহ কয়েকটি জায়গায় বন্দুকধারীর গুলি এবং ফ্রান্স স্টেডিয়ামের কাছে বিস্ফোরণের ঘটনায় কমপক্ষে ৬০ জন নিহত হয়েছে।
এই ঘটনার পর ফ্রান্সে জরুরী অবস্থা জারি করা হয়েছে, প্যারিসের রাস্তায় টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সীমান্ত। সাধারণ জনগণকে বাড়িতে থাকার অনুরোধ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আল-কায়েদা কিংবা ইসলামিক স্টেট বা আইএস জঙ্গিরা এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
শুক্রবার রাতে এই ঘটনার সময় জাতীয় স্টেডিয়ামটিতে জার্মানি ও ফ্রান্সের মধ্যকার একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ চলছিলো। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ এসময় স্টেডিয়ামে ছিলেন। পরে তাকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়।
প্যারিসের একটি রেস্টুরেন্টে এক বন্দুকধারী কালাশনিকভ রাইফেল বা একে-৪৭ থেকে গুলি চালালে কমপক্ষে ১১ জন মারা নিহত হয়।
এছাড়া আরেকটি হামলায় বাতাক্লান আর্টসেন্টারে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়। সেসময় সেখানে মার্কিন ব্যান্ড ‘ইগলস অফ ডেথ’ গান পরিবেশন করছিলো।
আর্টসেন্টারের কনসার্ট হলে এখনো বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে। ফ্রান্সের জাতীয় স্টেডিয়াম স্ট্যাড ডে ফ্রান্সের কাছে পরপর কয়েকটি বিস্ফোরণে আত্মঘাতি হামলাকারীসহ বেশ কয়েকজন হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
হামলার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
তীব্র নিন্দা ও সমবেদনা জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যেও প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।
স্যাটায়ার ম্যাগাজিন শার্লি হেবদো কার্যালয়ে হামলার পর শুক্রবার রাতে আরেকটি বড় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হলো ফ্রান্স।
তাৎক্ষনিক হামলায় প্যারিসে আতঙ্ক ভিডিও: