২০০৫ সালে একাধিক ‘সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা’র দায়ে অভিযুক্ত আলজেরীয় বংশোদ্ভূত আলেম আব্দুল নাসের বেনব্রিকার নাগরিকত্ব বাতিল করেছে অস্ট্রেলিয়া।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার ডটন এ কথা জানিয়েছেন।
২০০৯ সালে আব্দুল নাসেরের ১৫ বছরের জেল হয়। তবে আগামী মাসে তিনি জেল থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা ও জনগণকে নিরাপদ রাখতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বেনব্রিকারই প্রথম ব্যক্তি যার নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হলো। তবে তার আইনজীবী সরকারের এ সিদ্ধান্ত সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন।
ব্রিসবেনে ডটন সাংবাদিকদের বলেন, ‘যদি কোনও ব্যক্তি যদি আমাদের দেশের জন্য উল্লেখযোগ্য সন্ত্রাসবাদী হুমকি হয়ে থাকে তবে অস্ট্রেলিয়ানদের সুরক্ষার জন্য আমরা আইন অনুসারে যা কিছু সম্ভব করব।’
অস্ট্রেলিয়ান আইনের অধীনে সরকার কেবল দ্বৈত নাগরিক হলেই তাদের নাগরিকত্বের অধিকার ছিনিয়ে নিতে পারে, তাতে কেউ রাষ্ট্রহীন থাকবে না।
গত বছর অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সুরক্ষা সংস্থা-আসিও এই সরকারি ক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছিল, এটি ‘অনিচ্ছাকৃত বা অপ্রত্যাশিত নিরাপত্তার বিরূপ ফলাফল হতে পারে।’
১৯৮৯ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করা বেনব্রিকা সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সদস্য হওয়ার কারণে ২০০৫ সালে গ্রেপ্তার হয়েছিল এবং ২০০৯ সালে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল।
বেনব্রিকার ১২ বছরের নন-প্যারোলে জেল হয়। তার এ সাজার মেয়াদ ৫ নভেম্বর শেষ হয়। তবে অস্ট্রেলিয়া সরকার কারাগারে তার সময় বাড়ানোর জন্য ভিক্টোরিয়া রাজ্যের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে।
এই ধরনের আদেশের অধীনে, সন্ত্রাসবাদ অপরাধে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের সাজা শেষ হওয়ার পরে তিন বছর পর্যন্ত কারাগারে রাখা যেতে পারে।
তবে বেনব্রিকারকে কারাগারে রাখার জন্য ভিক্টোরিয়ার সুপ্রিম কোর্ট এখন পর্যন্ত ২৮ দিনের দুটি অস্থায়ী সময় মঞ্জুর করেছে। আর বেনব্রিকার পক্ষে আইনজীবী তার চলমান আটকের বিরুদ্ধে আবেদন করেছেন।