চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

সন্ত্রাসবাদে সমর্থনকারী দেশের ওপর চাপ সৃষ্টিতে একমত ভারত-সৌদি আরব

সন্ত্রাসবাদ দমন ও সন্ত্রাসীদের সমর্থনকারী দেশের ওপর চাপ সৃষ্টিতে একমত হয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। বুধবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দুই নেতা এই ঐক্যমতে পৌঁছান।

পাকিস্তানের কথা উল্লেখ না করে তারা একমত পোষণ করে বলেন, সন্ত্রাসী ও তাদের সমর্থনকারীদের সাজা দেয়া ক্ষেত্রে সন্ত্রাসীদের আবাসস্থল নির্মূল করা জরুরি।

বুধবার দ্বিপাকিক্ষ বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এসব কথা বলেন বলে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।

মোদি বলেন, পুলওয়ামায় বর্বর সন্ত্রাসী হামলা মানবতার বিরুদ্ধে হুমকির আরেকটি নিষ্ঠুর দৃষ্টান্ত। কার্যকরভাবে এই ভয় মোকাবিলার জন্য আমরা একমত হয়েছি। তা করতে গিয়ে সন্ত্রাসবাদে সমর্থনকারী দেশসমূহের ওপর সম্ভাব্য সব ধরনের চাপ প্রয়োগ করা হবে।

এসময় মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, সন্ত্রাসবাদ এবং উগ্রবাদ দুই দেশের জন্য সমানভাবে হুমকি। গোয়েন্দা কর্মকাণ্ডসহ ভারতের প্রতি আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে।

পাকিস্তান সফর ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকের একদিন পর বুধবার নরেন্দ্র মোদি ও  মোহাম্মদ বিন সালমানের মধ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। এদিন ভারত ও সৌদি আরবের মধ্যে পাঁচটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

বিনিয়োগ, পর্যটন, গৃহায়ণ এবং তথ্য ও সম্প্রচার ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে এসব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এছাড়া প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও দুই দেশ একমত হয়েছে।

পাকিস্তান সফর শেষে একদিনের সফরে মঙ্গলবার রাতে নয়াদিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছান যুবরাজ সালমান। সেসময় তাকে আলিঙ্গন করে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

গত সপ্তাহে ভারত শাসিত জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় গত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৪০ জনের বেশি আধাসামরিক সেনা নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত পাকিস্তান মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। এ অবস্থানের মধ্যেই পাকিস্তান ও ভারত সফর করলেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।

পুলওয়ামর হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী জয়েশ-ই-মোহাম্মদ। যদিও ভারতের দাবি পাকিস্তানের মদদে এ হামলা হয়েছে। তবে পাকিস্তান এ হামলায় নিজেদের সব রকম সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছে।

এ হামলার বদলা হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে পাকিস্তানকে একঘরে করার অঙ্গীকারও করেছে ভারত।