যুক্তরাজ্যের প্রিন্স উইলিয়াম ও ডাচেস অব কেমব্রিজ কেট মিডলটন গতকালই তাদের তৃতীয় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। সন্তান জন্ম দেওয়ার পরে দিন শেষ হওয়ার আগেই হাসপাতাল ছেড়ে যান কেট মিডলটন।
এর আগে প্রিন্সেস শার্লটের জন্মের সময়ও মাত্র ১০ ঘণ্টা হাসপাতালে ছিলেন কেট। প্রিন্স জর্জের জন্মের সময় সারারাত থাকলেও পরেরদিন সকালেই হাসপাতাল ছাড়েন কেট। কেন এত কম সময়ে হাসপাতাল ছাড়েন কেট এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই?
প্রথমত, মূলত ব্রিটিশ নারীরাই মা হওয়ার পরে খুব দ্রুত হাসপাতাল ছাড়েন। গার্ডিয়ানের ২০১৬ সালের একটি রিপোর্ট বলছে, যুক্তরাজ্যের একটি নতুন মা সন্তান জন্ম দেওয়ার পরে গড়ে মাত্র দেড় দিন হাসপাতালে থাকেন। উচ্চ আয়ের কোনো দেশে এটাই সবচেয়ে কম সময়। যেখানে মার্কিন মায়েরা থাকে গড়ে ২ দিন। ইউক্রেনের মায়েরা সবচেয়ে বেশি সময় হাসপাতালে থাকেন, গড়ে ৬ দিনেরও বেশি। এমন তথ্য দিচ্ছে বিজনেস ইনসাইডার।
দ্বিতীয়ত, কেটের সন্তান জন্মদানকে কেন্দ্র করে সবার আগ্রহ অনেকের মন বিক্ষিপ্ত করে দেয়। যখন হাসপাতালের বাইরে সবাই ক্রমাগত উল্লাসধ্বনি দিয়ে যাচ্ছে এবং একটি ভালো ছবির জন্য হাসপাতালের মূল ফটকে ক্যামেরা নিয়ে অনেকে যুদ্ধ করে যাচ্ছে তখন শান্তিতে নিজেকে সুস্থ করে তোলা কঠিন। আবার অন্য যেসব মায়েরা হাসপাতালে আছে তারা ওই একই সময়ে সমপরিমাণ মনোযোগ পাচ্ছে না। কেট হয়তো চাননা, তাদের অপ্রয়োজনীয় কোনো মানসিক চাপে পড়তে হোক।
তৃতীয়ত, ডিউক এবং ডাচেস যা চান তার সবই তাদের হাতের কাছে থাকে। একটি মেডিকেল দল সবসময় তৈরি থাকে যেকোনো প্রয়োজনে সাহায্য করার জন্য। তাতে কেট হাসপাতালে বিশ্রাম নিক বা রাজপ্রাসাদে।
ডেইলি মেইল জানিয়েছে, কেটের সন্তান জন্মদানে সাহায্য করে ২০ জনের একটি দল। তার মধ্যে একজন ধাত্রী বিশারদ, গাইনী, অ্যনেসথেটিস্ট, পুষ্টিবিদ, ল্যাব টেকনিশিয়ান ছিলো। ছিলো আরো কিছু বাড়তি ডাক্তার। দলটির মধ্যে দুজন ডাক্তার এর আগে প্রিন্স জর্জ ও প্রিন্সেস শার্লটের জন্মের সময়ও উপস্থিত ছিলেন।