সদ্য অবসরে যাওয়া এক বিচারপতি মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া মীর কাশেম আলীর আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করার প্রেক্ষাপটে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। রাষ্ট্রীয় সুবিধা ভোগ করা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের তিনি নিয়মনীতি অনুসরণ করতে বলেছেন। প্রতিক্রিয়ায় সদ্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, আইনের মধ্যে থেকেই তিনি মামলা পরিচালনায় যুক্ত হয়েছেন। তবে এটর্নি জেনারেল বলেছেন, বিচারপতি হিসেবে সরকারি সুবিধা থাকার মধ্যে আইন পেশায় যুক্ত হওয়া নৈতিকতাবিরোধী।
সর্বোচ্চ আদালতে আপিল শুনানির দ্বিতীয় দিনে বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর বিষয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা। এটর্নি জেনারেল বলেন,‘ সদ্য অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারপতি যুদ্ধাপরাধী মীর কাসিম আলীর মামলায় আইনজীবী হিসেবে অংশ নিয়েছেন। এ ব্যাপারে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। কারণ তিনি এখনো বিচারপতিদের বাসস্থান জাজেস কমপ্লেক্সে বসবাস করছেন, এখনো সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছেন এবং নিরাপত্তার জন্য গানম্যান (ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মী) পাচ্ছেন। এ অবস্থায় যদি আইনপেশায় এসে মামলা লড়তে আদালতে আসেন, তবে তা হবে চরম নৈতিকতা বিরোধী’।
মামলায় যুক্ত হওয়া এবং সরকারি সুবিধা নেওয়ার বিষয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন সাবেক বিচারপতি নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন,’ সংবিধান আমাকে এই সুযোগ দিয়েছে, তা মেনেই আমি আইনজীবী দায়িত্ব পালন করছি। বাড়ি,গাড়ি ও গানম্যান আর কয়েক মাস পাচ্ছি। তবে এসবের অপব্যবহার আগেও করিনি, আর ভবিষ্যতেও করবো না’।
২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর অবসরে যান হ্ইাকোর্ট বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী। তার রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা এখনো বহাল আছে। এরকম অবস্থায় মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলীর পক্ষে মামলা পরিচালনায় যুক্ত হন তিনি।
শুনানির দ্বিতীয় দিনে মীর কাশেম আলীর আপিলের উপর যুক্তি উপস্থাপন শুরু করে আসামীপক্ষ। ১০টির মধ্যে ২টি অভিযোগের উপর যুক্তি উপস্থাপনের পর শুনানি সোমবার পর্যন্ত মুলতবি করেন আপিল বিভাগ।