২০১৩ সালে অ্যাসোসিয়েড প্রেসের টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার পরে সেখান থেকে টুইট করা হয় হোয়াইট হাউজে বিষ্ফোরণ হয়েছে এবং তাতে তখনকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আহত হয়েছেন। আদতে সেখানে কিছুই ঘটেনি। ওবামাও সুস্থ ছিলেন। তবে বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়ে সেই টুইট।
এভাবেই দেখা গেছে টুইটারে সত্য ঘটনা যতটা ছড়ায় তার চেয়ে বেশি ছড়ায় কোনো মিথ্যে খবর। সাম্প্রতিক একটি গবেষণাও বলছে সেকথা। টুইটারের একটি গবেষণা বলছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে মিথ্যা খবরগুলো রটায় সবচেয়ে বেশি। তবে টুইটারে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়া কিছু কিছু তথ্য ঠিকও থাকে।
যেমন ২০১২ সালে টুইটারের মাধ্যমেই হিগস বোসন কনা প্রাপ্তির কথা প্রথম ছড়ায় টুইটারে। তারপরও টুইটার সবসময় ফেক নিউজ ছড়ানোর একটি উৎস হিসেবে দেখা দিয়েছে।
সম্প্রতি বিজ্ঞানের একটি গবেষণা বলছে, টুইটারে একটি ফেক নিউজ যতটা ছড়ায় ভালো নিউজ ততটা ছড়ায় না। এমআইটির একদল গবেষক ২০০৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত টুইটারে ছড়ানো সব মিথ্যা ও সত্য খবরের ডাটাবেস বিশ্লেষণ করে। তাতে দেখা যায় মিখ্যা খবরগুলো আরো বেশি বেশি, আরো দ্রুত, আরো গভীর ও আরো প্রসারিতভাবে ছড়ায়।
গবেষক দলের প্রধান আরাল এবং তার সহকর্মীরা চেয়েছিলেন টুইটারের ডাটাবেজের মধ্যে দিয়ে যেতে এবং রিপ্লাই টুইটগুলো ফলো করতে। এভাবে খবরের বিস্তৃতিটা বুঝতে চেয়েছিলেন তিনি।